|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : ভোজন রসিক বাঙালিদের জন্য এবার সুখবর। নদিয়ার কল্যাণীতে খুলল এক জোড়া নতুন রেস্তোরাঁ। মে দিবসে উদ্বোধন হল ‘ভূতের রাজা দিল বর’ ও ‘বাবর্চি’র নতুন শাখার।মে দিবসে জোড়া রেস্তোরাঁর সন্ধান।নদিয়ার রেস্তোরাঁ মানচিত্রে যোগ হল নতুন দুই ডেস্টিনেশন। এক ‘ভূতের রাজা দিল বর’ এবং অপরটি ‘বাবর্চি’।
যাদবপুর, চন্দননগর, সল্টলেক সেক্টর ফাইভ ও শিলিগুড়ির পর এবার কল্যাণী। খুলে গেল দুই রেস্তোরাঁর পঞ্চম শাখা।
সত্যজিৎ রায়ের ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুই রেস্তোরাঁর নতুন শাখার উদ্বোধন হল রবিবার। হিন্দুস্তান সুইটসের কর্ণধার রবীন্দ্রকুমার পাল বলেন, ‘আমাদের ‘ভূতের রাজা দিল বর’ ও ‘বার্বচি’র পাঁচ নম্বর কাউন্টার চালু হল। সত্যজিৎ রায়ের শতবর্ষের আবহে এই পঞ্চম ব্রাঞ্চের উদ্বোধন। আমাদের বিশেষত্ব এটাই যে একবার খান এখানে, সে আর ভুলতে পারেন না, ফিরে ফিরে আসেন।’
সত্যজিৎ রায়ের প্রতিকৃতি ও তাঁর সৃষ্টি গুপী গাইন ও বাঘা বাইনের নানা ছবি দিয়ে করা হয়েছে রেস্তোরাঁর অন্দরসজ্জা। কর্তৃপক্ষের দাবি, ১৭ রকম পদ মিলবে মাত্র ১৭০ টাকায়।
‘ভূতের রাজা দিল বর’-এর কল্যাণী শাখার অংশীদার সায়ন ঘোষ বলেন, ‘বাঙালি খাবার, এটাই এখানকার বৈশিষ্ট্য। আমাদের থালি বেশ জনপ্রিয়। তার মধ্যে মহাভোজ থালি আরও বেশি চলে। সেটা আনলিমিটেড। তাছাড়া মাটন থালি, ইলিশ থালি এগুলি খুবই বেশি চলে।’সায়ন ঘোষের বাবা মৃণাল ঘোষের কথায়, ‘এর আগে চন্দননগরের মানুষের মন জয় করতে পেরেছি। আমাদের আশা কল্যাণীর বাসিন্দাদেরও খুশি করতে পারব।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী দেবজিৎ সাহা। তিনি বলেন, ‘আগামী ৩ মে, ‘ভূতের রাজা দিল বর’ ১৭ বছর পূর্ণ করবে। তাদের এই ঐতিহ্যবাহী বাঙালী খাবার আর কল্যাণীর মতো জায়গায় দুই রেস্তোরাঁর জন্যই আমার শুভেচ্ছা রইল।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল সত্যজিতের সেই ভূত। ‘হাতে হাতে দাও তালি, তবে আসবে ভূতের থালি।’ –এই স্লোগানকে সামনে রেখেই এবার হবে পেটপুজো।