গোপগন্তার ১ অঞ্চলে তিন শতাধিক বছরের প্রাচীন চন্ডী পূজা উপলক্ষে মানুষের ঢল দেখা যায়।

সেখ সামসুদ্দিন : ৯ মে, মেমারি বিধানসভার গোপগন্তার ১ অঞ্চলে তিন শতাধিক বছরের প্রাচীন শ্রীশ্রীচন্ডী মাতার পূজা চলছে। এই চন্ডী পূজা উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষের ঢল দেখা যায় মন্দিরে। শোনা যায় রথ যাত্রার মত চন্ডী মাতা পাশের আন্দুল গ্রাম থেকে মাসির বাড়ি আসেন এবং একদিনের মধ্যেই রাতে আবার ফিরে যান গ্রামের মানুষ বা ভক্তরা। গত রাতে আন্দুর গ্রাম থেকে চন্ডী মাতাকে নিয়ে এসে এই চন্ডীমন্দিরে আসীন করেন এবং আজ সারাদিন পুজো পর্ব শেষে রাত্রি দশটার সময় আবার আন্দুলে ফিরিয়ে দিয়ে আসেন। চন্ডীমাতার এই মন্দিরে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য কোন আলোকসজ্জা বা বৈদ্যুতিক আলো নিয়ে পুজো হয় না, এখানে খড় জ্বালিয়ে সেই আলোতেই পুজো করা হয়। রামনবমীর এক মাসের মাথায় সীতামায়ের অনুসারে পুজো করা হয়। আরো জানা যায় এলাকার মানুষ এই মন্দিরে অনেক বিষয়ে মানত করেন এবং সেই মানত সফল হলে তারা মন্দিরের পুকুরে স্নান করে দণ্ডী কেটে এই মন্দিরে আসেন এবং পুজো দিয়ে যান। পুজোকে কেন্দ্র করে এলাকায় বড় মেলা বসে, যা তিন দিন ধরে চলে। আজ সকাল দশটা নাগাদ মেমারি বিধানসভার বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য‍্য আসেন। এই চন্ডী মন্দিরে প্রবেশের আগেই হনুমান মন্দিরে পুজো দেন। তারপর চন্ডীমন্দির গিয়ে সেখানে পুজো দেন। তিনি সেখানে সমস্ত মানুষের মঙ্গল কামনা করেন। একইসঙ্গে দেশ থেকে করোনা নামক ব্যাধি যাতে দূর হয় তার জন্য প্রার্থনা করেন।