|
---|
আজিজুর রহমান, গলসি : নির্মিত হচ্ছে রাস্তা আর সেই রাস্তায় উঠছে ধুলো। যার জেরে নাকানি চোকানি খাচ্ছেন গলসি পারাজ শিল্যা রোডের হাজার হাজার সাধারণ মানুষ। বিষয়টি জানতে পেরে ঠিকা সংস্থাকে দিয়ে রাস্তায় জল দেওয়ার ব্যবস্থা করেন গলসি ওসি অরুন কুমার সোম। তবে নামমাত্র জল দিয়ে লোক দেখানী কাজ করছে ওই ঠিকা সংস্থা বর্তমানে এমনই অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। জানতে পারা গেছে, পারাজ স্টেশন থেকে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কোলকোল মোড় ও জাতীয় সড়কের পারাজ মোড় থেকে শিল্যা প্রযন্ত কমবেশি ১৩ কিলোমিটার ওই রাস্তা নির্মাণ করার বরাত পায় এ জে সরকার নামে একটি ঠিকা সংস্থা। রাস্তা তেরীর জন্য বরাদ্দ হয়েছে কমবেশি ২৩ কোটি টাকা। স্বাভাবিকভাবেই রাস্তার আশপাশে পঁচিশ ত্রিশ টি গ্রাম রয়েছে। নিত্য শতশত বাইক ও চারচাকা চলাচল করে। বর্তমানে প্রতিদিন ওই রাস্তায় শিল্ল্যা বাঁকুড়া ২টি, শিল্ল্যা বেনাচিতি ২ টি, সোদপুর বর্ধমান ৩টি, লোয়াপুর বর্ধমান ৩ এবং শিল্লা বর্ধমান ৮টি, মোট আঠোরেটি বাস চলে। পত্যেকটি বাস আপডাউন চারবার যাতায়াত করে। প্রতিদিন এলাকার হাজার অধিক স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা যাতাযাত করে। অভিযোগ, রাস্তায় জল না দেওয়ার জন্য ধুলোয় আকাশ ঢেকে যাচ্ছে। ঠিকেদার গোটা রাস্তাটা দায়সাড়া ভাবে কাজ করায় সমস্যায় পরছেন বহু মানুষ। দ্রুত ওই সমস্যার সমাধান চান স্থানীয়রা। পারাজের বাসিন্দা সমর নায়েক বলেন, গাড়ি পেরিয়ে গেলে প্রচুর ধুলে উড়ছে। ফলে রাস্তার বাইক নিয়ে চলা অসম্ভব হয়ে পরেছে। পাথরের ডাস্ট দেওয়ার এর জন্য ওই ধুলো বেশি উড়ছে। ধুলোয় রাস্তা দেখা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শতশত বাইক চলে। আমরা সবাই সমস্যায় পরছি। ঠিকেদার ওই ধুলো না উড়ার ব্যবস্থা করুক। তবে পারাজের বাসিন্দা সেখ মাসবু আলম জানান, আমরা গলসি থানার ওসি স্যার বলার পরই জল দেওয়া শুরু হয়েছে। সেইজন্য ওসি অরুন বাবুকে ধন্যবাদ জানাই। তবে কাজটা ঠিকঠাক করছে না ঠিকেদার। নামমাত্র জল দিচ্ছে ফলে প্রচুর ধুলো উড়ছে। তাছাড়া গোটা রাস্তায় জল দিচ্ছে না। বিষয়টি সংস্লিষ্ট দপ্তরের দেখা উচিত। সমস্যার বিষয়টি পিডব্লিউডিকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন গলসি-১ ব্লকের বিডিও জয়প্রকাশ মণ্ডল। এদিকে ঠিকাসংস্থার ম্যানেজারকে সেখ আনোয়ার কে বার বার ফোন করা হলে তিনি অবশ্য ফোন ধরেননি। তবে পিডাব্লিউডি ইঞ্জিনিয়ার মনিরুল মল্লিক বলেন, ওই রাস্তায় জল দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।