রাস্তায় সরকারি বাস রাস্তায় নামছে না কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবহণ নিগমগুলিকে

নিজস্ব সংবাদদাতা : রাস্তায় সরকারি বাস কমছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। বিপুল তেলের দাম। আর সেই তেলের টাকা জোগাড় করতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবহণ নিগমগুলিকে। তাই পূর্ণ মাত্রায় সরকারি বাস রাস্তায় নামছে না বলে নিগম সূত্রে খবর।

    বকেয়ার পাহাড় জমছে কলকাতা রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম, ট্রাম কোম্পানি এবং ভূতল পরিবহণ নিগমের ক্ষেত্রেও। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, সরকারি বাস চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় ডিজেলের খরচ যাত্রী-ভাড়ার টাকায় জোগাতে হয়। বাসভাড়া না বাড়ানোয় নিগমগুলির আয় সে ভাবে বাড়েনি। অথচ ডিজেলের দাম লাফিয়ে বাড়তে থাকায় নিগমগুলির তেল কেনার ক্ষমতা কমছে। গুরুত্বপূর্ণ ডিপোয় পাঁচ দিনে এক ট্যাঙ্কার তেল দেওয়া হচ্ছে। অন্যত্র এক সপ্তাহ বা আরও দেরিতে ট্যাঙ্কার পৌঁছচ্ছে। ব্যস্ত সময়ে কমবেশি ৪০০ বাস রাস্তায় নামলেও দুপুরে সেই সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশে ঠেকছে। বিকেলে বাস কিছুটা বাড়লেও সন্ধ্যার পরে সেই সংখ্যা কমছে।রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পর পর বাস বসে যেতে শুরু করলে পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন আধিকারিকেরাই। ব্রেকের যন্ত্রাংশের সরবরাহ কমছে। গরমে এসি বাস চালিয়ে বাড়তি আয় হয় নিগমের। কিন্তু, সেগুলিরও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ। ৭৫টি বৈদ্যুতিক বাস চালিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি। এক ট্যাঙ্কার ডিজেলের দাম ১১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা। পুরোদমে বাস নামাতে শুধু সিটিসির প্রতি শিফটে ৩০০ বাস নামাতে কমপক্ষে ২ ট্যাঙ্কার তেল দরকার।ডিজেল কিনতে সরকার টাকা দেয় না। বাস চালিয়ে টিকিট বিক্রি করে আয় করতে হয়। সরকার বেতনের টাকা দেয়৷ তার ফলে কর্মীরা মাইনে পাচ্ছে।ডিজেলের দাম বিগত কয়েক মাস ধরে বাড়লেও রাজ্য সরকার বাসের ভাড়া বাড়ায়নি। পুরনো ভাড়ায় বাস চালিয়ে তেলের দাম উঠছে না। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের তেল কিনতে গিয়ে দেনা হয়ে আছে প্রায় ৮ কোটি টাকার কাছাকাছি। সিটিসি রোজ ৫০-৬০ গাড়ি নামাচ্ছে। সিএসটিসি নামাচ্ছে ৩৫০ গাড়ি। এর মধ্যে ই-বাস আছে ৭৫’টি। সিএসটিসি এসি ই-বাসে দৈনিক ৯ লাখ টাকা উঠছে। সিটিসি বাস চালিয়ে ৫ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা তুলছে।