অবশেষে রেলের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু

দক্ষিন দিনাজপুরঃ

    রেলের জন্য অবশেষে বালুরঘাট-হিলি রেললাইন সম্প্রসারণে জমি অধিগ্রহণের জন্য গেজেট নোটিফিকেশন জারি করল জেলা প্রশাসন। জমি জটে বেশ কয়েকবছর ধরে হিলি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ আটকে ছিল। সেই জট কাটতেই শুরু হয়েছে ফের জমির মূল্য নির্ধারণের কাজ।
    ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সর্বপ্রথম দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানচিত্রে রেল স্থান পায়। প্রথমে কলকাতাগামী একটি ট্রেন দিনে চলাচল করলেও ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি হয়েছে। তবে হিলি পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়নি। হিলি পর্যন্ত রেললাইন করার দাবি বহুদিনের। ২০১০ সালে রেলমন্ত্রক ঘোষণা করে বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণ করা হবে। এই কাজে বরাদ্দ হয় প্রায় ১০০ কোটি টাকা। বালুরঘাট থেকে ডাঙ্গি হয়ে কামারপাড়া দিয়ে হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণ করা হবে। প্রয়োজন ছিল ৪১০ একর জমির। ২০১২ সালে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে রেল। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমির পরিদর্শন, মাপজোক, সরকারি মূল্য নির্ধারণ সহ অন্য প্রক্রিয়াও শুরু হয়। ১৫৫২টি প্লটের জমি মালিকের মধ্যে ২১ জনের জমি দিতে আপত্তি তোলেন। সেই জটিলতা কাটতেই সমস্ত তথ্য পাঠানো হয় রেলকে। রেলের পক্ষ থেকে সম্মতি পেয়েই জেলা প্রশাসন গেজেটেড নোটিফিকেশন জারি করল।অন্যদিকে নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম চন্দ্রপ্রকাশ গুপ্তা বলেন, “রেলওয়ে নির্মাণ দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জমি না পাওয়ার কারণে বালুরঘাট হিলি রেল প্রকল্পের কাজ আটকে ছিল। জমি দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। জমি না পেলে এই প্রকল্প শুরু করা যাবে না। তবে জমি জট কেটেছে। জমি অধিগ্রহণ হলেই তারা পরবর্তী কাজ শুরু করবেন।”
    এবিষয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রণব কুমার ঘোষ (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) বলেন,”হেয়ারিং করার পর এবার গেজেট নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে জমি কেনার। তবে জমির মূল্য নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া চলছে।”