|
---|
আজিজুর রহমান,গলসি : রাত্রি একটা নাগাদ গলসির পারাজ ডিভিসি সেচ ক্যানালের কাছে এক নাবালিকাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌছানোর ব্যাবস্থা করলো গলসি পুলিশ। গভীর রাতে পুলিশের এমন উদ্দ্যোগের প্রসংশা করেছেন নাবালিকার পরিবারের লোকের সাথে স্থানীয়রা। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গতরাতে পারাজের রাস্তার ডিভিসি সেচ ক্যানালের কাছে শিল্যা অভিমুখে একা যাচ্ছিলেন ১৫ বছর বয়সী ওই নাবালিকা। আচমকা গলসি থানার পুলিশের মোবাইল গাড়ির লাইট পরে নাবালিকার উপরে। গাড়ি থামিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার ফোন করেন গলসি থানার ওসি অরুন কুমার সোমকে। তিনি থানা থেকে মহিলা পুলিশ পাঠিয়ে তার গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ওইসময় পুলিশকে ওই নাবালিকা জানান, তিনি তার মামার বাড়ি যাচ্ছেন। রাতে বাড়িতে মা বাবার সাথে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছেন। পুলিশ তাকে তার গন্তব্যস্থলে পৌছাতে চাইলে তিনি তার মামার বাড়ি রামগোপালপুরে যেতে চান। সেখানে খোঁজাখুজির পর বাড়ি খুঁজে না পাওয়ায় নাবালিকা বিরিংপুর গ্রামে যেতে চান। পুলিশ তাকে গাড়ি করে গোটা বিরিংপুর নিয়ে ঘুরলেও বাড়ি খুঁজতে পারেননি নাবালিকা। এরপর তিনি পুনরায় নবখন্ড গ্রামে মামার বাড়ি যেতে চান। পুলিশ তাকে নবখন্ড ঘোরালে তিনি বাড়ি চিহ্নিত করতে পারেননি। পুলিশকে মিথ্যা মামার বাড়ি ঠিকানা দিয়ে এইভাবেই বিভ্রান্ত করে নাবালিকা। এরপরই নিরুপায় হয়ে পুলিশ তাকে গলসি থানায় নিয়ে আসে। গভীর রাতেই ওসি অরুন বাবু যোগাযোগ করেন আউসগ্রাম এলাকায় নাবালিকার বাবার সাথে। এরপরই ভোর তিনটার সময় পরিবারের সদস্যরা থানায় এলে পুলিশ তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। নাবালিকা মামা জানান, আউসগ্রাম এলাকায় নাবালিকা বাড়ি হলেও ছোট থেকেই পারাজ এলাকায় তার বাড়িতে থাকেন ওই নাবালিকা। রাতে একটু বকাবকি হওয়ায় দশটা নাগাদ সে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। তারা আউসগ্রাম ও পারাজ এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখুজি করছিলেন। তবে শেষে পুলিশ তাদের ফোন করে থানায় আসতে বলে। এরপরই সাড়ে তিনটা নাগাদ তারা নাবালিকাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান। গভীর রাতে এমন সহযোগিতার জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানান নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা।