|
---|
নুরউদ্দিন : দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ৮ জন মৎস্যজীবীর মৃতদেহ উদ্ধার, এখনো একজনকে খোঁজ চালানো হচ্ছে। ট্রলালের কেবিনের ভিতরেই আটকে ছিল শরীরগুলো।দেহগুলি শনাক্তকরণের জন্য কাকদ্বীপ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।ঘটনার সূত্রপাত শনিবার ভোররাতে,বাঘের চর থেকে ৬০ কিমি গভীরে সমুদ্রে হঠাৎ আসার টর্নেডোতে এফ বি বাবা গোবিন্দ নামে একটি মৎস্যজীবীর ট্রলার উল্টে ১৭ জন মৎস্যজীবীর মধ্যে নিখোঁজ হয় ৯ জন মৎস্যজীবী।খবর পেয়ে ৫ টি মৎস্যজীবী ট্রলার ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শনিবার সকালে ৮ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে নামখানার নারায়ণপুর ঘাটে নিয়ে আসা হয়।উদ্ধার হওয়া ৮ মৎস্যজীবী সুস্থ ছিলেন, তাদের কাকদ্বীপ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে নিখোঁজ ৯ মৎস্যজীবীদের খোঁজে গত শনিবার ভোর থেকে গভীর সমুদ্রে তল্লাশি চালানোর পর রবিবার বিকেল পর্যন্ত ৯ জনের মধ্যে ৮ জন মৎস্যজীবীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ।
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার, সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার ড: কোটেশ্বর রাও, কাকদ্বীপের এসডিপিও প্রসেনজিৎ ব্যানার্জি সহ প্রশাসনের বিশিষ্ট আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর,গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে গত বুধবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের নামখানা সমুদ্র বন্দর থেকে এফ বি বাবা গোবিন্দ নামে একটি মৎস্যজীবী ট্রলার মাছ ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় গভীর সমুদ্রে, সেই মৎস্যজীবী ট্রলারে ১৭ জন মৎস্যজীবী ছিলেন।
রাতে বঙ্গোপসাগরের বাঘের চর থেকে ৬০ কিমি গভীরে নোঙ্গর করে। সেই ট্রলারে মাঝি কানাই দাস সহ ৯ জন মৎস্যজীবী রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে ট্রলারের কেবিনের মধ্যে শুয়ে পড়েন।
বাকি ৮ জন মৎস্যজীবি খাওয়া-দাওয়া সেরে ট্রলারের পাঠাতনের ওপরে শুয়ে পড়েন। ভোররাতে হঠাৎ সমুদ্রে টর্নেডোতে ট্রলার উল্টে যায়,আর পাঠাতনের উপরে শুয়ে থাকা ৮ জন মৎস্যজীবী গভীর সমুদ্রে পড়ে ভাসতে থাকে। কেবিনের মধ্যে থাকা মাঝি সহ বাকি ৯ জন মৎস্যজীবী ঘুমের মধ্যে থাকার কারণে বের হতে না পেরে গভীর সমুদ্রে ডুবে যায়।
৮ জন মৎস্যজীবীদের মৃতদেহ উদ্ধার হয় রবিবার, একজনের খোঁজ চালানো হচ্ছে, শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারে।এ বিষয়ে মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তিনি জানান ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। পরিবারের লোকজনেদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই। তৃণমূল কংগ্রেস সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে পরিবার গুলির পাশে রয়েছে।আমরাও পরিবারের পাশে রয়েছি। আমাদের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত বিষয়টির উপর নজর রেখেছে।