|
---|
আজিজুর রহমান (মাখন) : গলসিগ্রামগঞ্জের মানুষকে পরিসেবা দিতে নতুন দশটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করলো পুরসা হাসপাতালের বিএমওএইচ ফারুক হোসেন। আর এ থেকে ঘরের কাছে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিসেবা পেয়ে বহু মানুষ উপকৃত হবে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। জানতে পারা গেছে, কিছুদিন পূর্বে ব্লকের শিড়রাই গ্রাম পঞ্চায়েতের সুন্দলপুর ও পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের খাঁ পাড়া গ্রামে দুটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু হয়। এর পর রবিবার গলসি ১ ব্লকের ছয়টি জায়গায় পৃথক পৃথক ভাবে ছয়টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করা হল। এদিন ব্লকের চাঁকতেতুল গ্রাম পঞ্চায়েতের শালডাঁঙা, লোয়া কৃষ্ণরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘাগরা, উচ্চগ্রাম পঞ্চায়েতের কোলকোল, লোয়া রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শিল্লা ও ধর্মপুর, মানকর গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিকপাড়া এই ছয় টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র নতুন ভাবে খোলা হয়। এছাড়া মঙ্গলবার বুদবুদ গ্রাম পঞ্চায়েতের বুদবুদ গ্রামে ও শুকডালে আরও দুটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের এমন উদ্দ্যোগে বহু রকম ভাবে সুবিধা পাবেন গ্রামের মানুষরা। উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলির জন্য হাসপাতালের চাপ কিছুটা হলেও কম হবে। তিনি জানিয়েছেন, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলি সবসময় তাদের পর্যবেক্ষণে থাকবে। সেখানে দায়িত্বে থাকবেন সরকারি ট্রেনিং প্রাপ্ত একজন করে নার্স অর্থাৎ এএনএম দিদি। তারা কেন্দ্রগুলি থেকে সংস্লিষ্ট এলাকার স্বাস্থ্যের প্রাথমিক দিকগুলি নজর রাখবেন। প্রয়োজন হাসপাতালের ডাক্তার বাবুদের পরামর্শ নেবেন। এএনএম দিদিদের সহযোগিতা করবেন সেন্টারে দায়িত্বে থাকা আশাকর্মীরা। তারা গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় শিশু মা সহ বিভিন্ন মানুষের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়ে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে এএনএম দিদিদের জানাবেন। আর এই ভাবেই নিশুল্কঃ পরিসেবা পাবেন গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষ। বর্তমানে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলি থেকে জ্বর, সর্দি, কাশি, পাইখান, টিবি ও কুষ্ঠ রোগ সহ বিভিন্ন রোগের ওষুধের সাথে সাথে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিষেবা পাওয়া যাবে। তাছাড়া এখান থেকে প্রসুতি মা ও শিশুর স্বাস্থ্য, টিকাকরন, প্রেসার, সুগার মাপা সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিসেবা পাবেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। সঠিক পরিসেবা দেওয়ায় বিষয়ে তিনি বলেন, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলি ঠিকঠাক পরিসেবা দিচ্ছে কিনা সেই বিষয়েও তাদের সবসময় নজর থাকবে। তাছাড়াও উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিসেবা নিতে আসা গ্রামের মানুষ তাদের অভাব অভিযোগ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরাসরি জানাতে পারবেন। সেইজন্য পুরসা হাসপাতালে একটি অভিযোগ বাক্স করা আছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগে তাদের ব্লকে ২৭ টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ছিল। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারনে আরও নতুন দশটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করা হল। এই সব উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলি থেকে ঠিকঠাক পরিসেবা পলে বহু মানুষ উপকৃত হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় মানুষরা।