|
---|
নিজস্ব প্রতিনিধি: ৪৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের জিএসটি জালিয়াতি নিয়ে সরব হল রাজ্য সরকার। কেন এমন হল, সরকার এই জালিয়াতি রুখতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, আঁটঘাট না বেঁধে তাড়াহুড়ো করে যেভাবে জিএসটি চালু হয়েছে তাতে হাওলা এবং জালিয়াতির সম্ভাবনা নিয়ে সতর্ক করার পরেও কেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, কেন্দ্রের কাছ থেকে এইসব ব্যাপারে জবাবদিহি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মতো কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে কড়া চিঠি দিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা জিএসটি কাউন্সিলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ডঃ অমিত মিত্র।
সরকারি হিসেব মতো ৪৫ হাজার ৬৮২ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকার বাইরেও আরও জালিয়াতি হয়েছে বলেই মনে করছেন অমিত মিত্র। পশ্চিমবঙ্গ সহ রাজ্যগুলির এসজিএসটি (স্টেট জিএসটি)র তথ্য সামনে এলে তা এক লক্ষ কোটি টাকার উপর পৌঁছবে বলেই নির্মলা সীতারামকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন অমিত মিত্র।
ভুয়ো রসিদ পেশ করিয়ে জিএসটির ‘ইনপুট ক্রেডিট ট্যাক্স’ আদায় করার মতো জালিয়াতি তথা হাওলার মাধ্যমে টাকার নয়ছয় হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে এক বছর আগেই সরকারকে সতর্ক করেছিলেন অমিত মিত্র। এবারের চিঠিতে সেকথা উল্লেখও করেছেন তিনি।
কারা এই জালিয়াতি করেছে, তার তদন্ত দাবি করে অমিত মিত্র বলেছেন, জিএসটি নিয়ে তথ্য প্রযুক্তিগত উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ার পাশাপাশি তাড়াহুড়ো করে এই নতুন কর ব্যবস্থা চালু করাতেই এ ধরনের জালিয়াতি হয়েছে। তাই ব্যবস্থা নিখুঁত করার পাশাপাশি ইনভয়েস ম্যাচিং সহ নতুন ট্যাক্স রিটার্ন ব্যবস্থা চলতি বছরের অক্টোবরের বদলে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তা চালু করার দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী।