|
---|
রেশমিকা ইয়াসমিন, হাড়োয়া : ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫১৮ ভোটের ব্যাপক মার্জিনে পরাজিত করেছে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির রেখা পাত্র কে। লোকসভা ভোটের আগে সন্দেশখালিকে ইস্যু করে রাজনৈতিক ময়দানে ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি দল। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে মানুষের কাছে প্রকৃত সত্য উন্মোচিত হওয়ার ফলেই পরিষ্কার হয়ে যায় দেওয়াল লিখন। রাজ্যজুড়ে ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বকশি, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম,সুজিত বোস,পার্থ ভৌমিক এর মতো নেতৃত্বদের বলিষ্ঠ তত্ত্বাবধানে ভোট বাক্সে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় ছাপিয়ে গেছে বিজেপির।
উল্লেখ্য ২০০৯ সালে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে প্রথমবারের জন্য সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল হাজী শেখ নুরুল ইসলাম। পরবর্তীকালে ২০২১ সালের হাড়োয়া বিধানসভার বিধায়ক হিসেবেও নির্বাচিত হয়ে মানুষের সেবা করার সুযোগ পান দক্ষ এই সংগঠক। রাজ্যে ২৯টি লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাফল্যে মা মাটি মানুষের কর্মীরা জয়ের আনন্দে উল্লসিত। ব্যতিক্রম হয়নি বসিরহাট লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা এলাকার কর্মীরাও। শুভেচ্ছায় ভেসে চলেছে হাজী নুরুল।
বলাবাহুল্য বসিরহাট লোকসভা এরিয়ায় জয়ের ব্যবধানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা বিগত দিনের ন্যায় এবারও রেখে চলেছে হাড়োয়া বিধানসভার অন্তর্গত অঞ্চলগুলি। শুধুমাত্র হাড়োয়া বিধানসভা থেকেই প্রায় এক লক্ষ এগারো হাজার ভোট ব্যবধান তিনি রেখেছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে। বলা ভালো বারাসাত দু নম্বর ব্লকের অন্তর্গত দাদপুর,কীর্তিপুর ওয়ান,কীর্তিপুর টু,শাসন ও ফলতি বেলিয়াঘাটা এখান থেকেই প্রায় ৫৯ হাজার ভোটের মার্জিন তার ঝুলিতে যায়। হাজী সাহেবের ব্যাপক সাফল্যে বারাসাত 2 নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব অত্যন্ত আনন্দিত।স্থানীয় সভাপতি শম্ভুনাথ ঘোষের নেতৃত্বে এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির দক্ষ কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন কমিটির অন্যতম সদস্য লড়াকু তরুন মুখ হাজী এ কে এম ফারহাদ সহ স্থানীয় নেতৃত্বদের মধ্যে মেহেদী হাসান,নজিবুর রহমান,মনিরুল ইসলাম মনি,আব্দুল হাই,আসের আলী মল্লিক,ইফতিকার উদ্দিন,আমিনুল ইসলাম,আব্দুল মান্নান আলী,ইসরাইল আলী,রঞ্জিত মন্ডল,জিয়াউল ইসলাম, সাবিনা খাতুন,ঝন্টু ইসলাম,শাহাবুদ্দিন আলী, শহিদুল ইসলাম,রমা মন্ডল, হাফিজুর রহমান, রবিউল ইসলাম,আসাদ আলী,দীপু মন্ডল,খোকন শা, আব্দুর রাজ্জাক মল্লিক,প্রমুখ।
সাম্প্রতিককালে দেখা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞ এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সাথে সাথে দল এবং প্রশাসনের কর্মসূচি দক্ষ হাতে করে যাওয়ার জন্য যাদের অবদান অন্যতম তাদের মধ্যে একজন একেএম ফারহাদের সম্পর্কে এলাকাবাসী রহমত মোল্লা বলেন শাসনের এই অঞ্চল থেকে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেস কাজ করছে তাতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন কাজের মানুষ হিসাবে আগামী দিনে সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে তাকে প্রয়োজন। স্বপন ঘোষ তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন শম্ভুনাথ ঘোষের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং এ কে এম ফরহাদ সহ অন্যান্য দক্ষ নেতৃত্বের সহযোগিতায় তৃণমূল কংগ্রেস অত্যন্ত ভালোভাবে কাজ করে চলেছে তাই হাজী সাহেবের বাকি কাজগুলো সঠিকভাবে করার জন্য দক্ষ মানুষের হাতেই দায়িত্ব দিলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে বলে স্বপন বাবু জানান।
দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র রাজনীতি করে উঠে আসা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সভাপতি জেলা পরিষদের দ্বিতীয়বারের কর্মাধ্যক্ষ সহ বিভিন্ন রকমের গুরুত্বপূর্ণ পদ দক্ষতার সঙ্গে পালন করা শান্ত ভদ্র স্বভাবের হাজী ফারহাদ বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন সাধারণ মানুষের সুখে দুঃখে এবং তার যোগ্য উত্তরসূরী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে বাংলা জুড়ে সবুজ ঝড়ে আজ কুপোকাত সাম্প্রদায়িক বিজেপি দল। আমরা সবাই সঙ্গবদ্ধভাবে মা মাটি মানুষের দলকে সঠিক জায়গায় দেখতে পেয়ে আনন্দিত। তিনি বলেন বিজেপির গ্যারান্টি যেখানে ফোর টুয়েন্টি সেখানে মমতা বন্দোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা সত্যি কারের গ্যারান্টি তাই তৃণমূল কংগ্রেসকে যে মর্যাদা বাংলার মানুষ দিয়েছে তা আগামী দিনেও বিরাজ করবে বলে তিনি জানান। এলাকাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি মানুষের কাজে যে কোন প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকারবদ্ধতার কথা বলেন।