|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে মহামারী করোনা ভাইরাসে জর্জরিত সারা পৃথিবী। এই করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের জীবন যাপন করা খুবই জটিল হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের যেমন দিন চালানো জটিল হয়ে গেছে তেমনই ধনী ব্যক্তিদের বাৎসরিক যেই চিন্তা ভাবনা সেটাও বিফল হয়ে গেছে। ইসলাম ধর্মের ৫ টি স্তম্ভ রয়েছে ১ – কালেমা, ২ – নামাজ, ৩ – জাকাত, ৪ – রোজা, ৫ – হজ। এই ৫ টি হলো ইসলামের স্তম্ভ কোনো ব্যক্তি যখন নিজেকে মুসলিম দাবি করবে তখন তার মধ্যে এই ৫ টি স্তম্ভ থাকা বাধ্যতামূলক, তবে প্রথম দুটি স্তম্ভ বাদ দিয়ে বাকি তিনটি স্তম্ভ সবার উপর বাধ্যতামূলক নয়। ব্যক্তির অবস্থার উপর এই ৩ টি স্তম্ভ বাধ্যতামূলক তার মধ্যে একটি হলো হজ।
ইসলাম ধর্মে হজ একটি বাৎসরিক উত্সব। প্রতিটা মুসলিমকে তার জীবনে অন্তত একবার এই হজ পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যেই সমস্ত ব্যক্তিরা ধনী মূলত তাদের উপর বাধ্যতামূলক এই বাৎসরিক উত্সব হজ। প্রতিবছর সারা পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ সম্পদশীল মুসলিম ব্যক্তি অপেক্ষায় থাকে এই বাৎসরিক উত্সব হজ পালন করার জন্য। এই বছরও সকলেই প্রস্তুত ছিল কিন্তু মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সেই সমস্ত ব্যক্তির উদ্দেশ্য সফল হলোনা।
যদিও সৌদী সরকারের তরফে প্রথমদিকে জানানো হচ্ছিল যে সম্পূর্ণ ভাবে এই বছর হজ নিষিদ্ধ করা হবে কিন্তু যাবতীয় স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাত্র ১০০০ ব্যক্তিকে মসজিদুল হাদাম বা কাবা শরিফে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে পালিত হচ্ছে এই বছর অর্থাৎ আরবী ১৪৪১ সাল বা ইংরেজি ২০২০ সালের হজ।
প্রতিবছর ২০ লক্ষের অধিক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মুসলিমরা এই কাবা শরিফের তাওয়াব করে সেখানে মাত্র ১ হাজার ব্যক্তির অনুমতি দেওয়া হয়েছে মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে। যেই সমস্ত ব্যক্তিরা হজের অনুমতি পেয়েছে তাদের উপর স্বাস্থ্য বিধির যাবতীয় নিয়ম লাগু করা আছে। হজ চলাকালীন শুধু মাত্র কাবা শরিফের অফিসিয়াল লোক ছাড়া কেও কাবা শরীফে হাত লাগানোর অনুমতি নেই। সকলকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মুখে মাস্ক লাগিয়েই পালন করছে হজ। অনুমতি পাওয়া প্রতিটা ব্যক্তিকে কুরেনটাইন রাখার পর প্রতিটা পদে পদে শারীরিক অবস্থা চেকাপ করা হচ্ছে, এই বছর শুধু মাত্র ২০ বছর বয়স থেকে ৫০ বছর বয়সের মানুষদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী মুহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেন্টেন রাজ্যের মিডিয়া মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলেছে, “২০২০ সালের হজ হল সব ব্যবস্থা দ্বারা সত্যই ব্যতিক্রমী হজযাত্রা। “করোনভাইরাস মহামারী দ্বারা সৃষ্ট ব্যতিক্রমী বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিস্থিতির কারণে, সমস্ত তীর্থযাত্রীদের স্বাস্থ্যকর হজ নিশ্চিত করতে কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে যে এই বছর হজ পালনকারী হজযাত্রীদের কঠোর নির্বাচন প্রক্রিয়া হয়েছে এবং পবিত্র শহরগুলিতে পৌঁছানোর আগে তাদের বিভিন্ন সময় স্ব-বিচ্ছিন্নতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। মিডিয়া মন্ত্রক জানিয়েছে, তাদের আগমনের পরে এবং ফিরে আসার পরে তাদের কুরেনটাইন প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
সৌদি আরবে প্রায় ২৭০,০০০ করোনা আক্রান্তের মামলা পাওয়া গেছে এবং ২,৭০০ এরও বেশি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এই বছরের শুরুতে, উমরাহকেও স্থগিত করেছিল – বছরের যে কোনও সময় হজ্বের একটি ছোট সংস্করণের কারণে মহামারীটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায়।