শান্তিপুর হ্যান্ডলুম অফিসে তাঁত বস্ত্র রপ্তানির আঞ্চলিক সহায়তা কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন

শরিফুল ইসলাম, নতুন গতি, শান্তিপুর:

    “দীর্ঘদিন ধরে তাঁত এবং এখানকার তাঁত শিল্পী শান্তিপুরের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। এখানে বেশ কয়েকটা এলাকায় বড় বড় বাজার রয়েছে। সেখানে তাঁত কাপড়ের হাট বসে। শান্তিপুর সহ ফুলিয়া, ধাত্রীগ্রাম নবদ্বীপ থেকে তাঁতীরা তাঁদের তৈরি কাপড় নিয়ে এসে বিক্রি করেন। সেই কাপড় বিভিন্ন হাত ঘুরে সারা ভারতবর্ষের বাজারে পাড়ি দেয়।

    আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এই তাঁত বস্ত্র বিপণনের একটা বড় জায়গা রয়েছে। শান্তিপুরকে ভিত্তি করে তাঁত বস্ত্র রপ্তানীর একটা আঞ্চলিক সহায়তা কেন্দ্র স্থাপনের একটা স্বপ্ন ছিল। এই ব্যাপারে রাজ্যস্তরে আলোচনা চলছিল। অঞ্চলভিত্তিক এই ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে শতাব্দিপ্রাচীন একটি কুঠীর শিল্পকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় বৃহত্তর রূপ দিয়ে তাঁকে আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছে

    দেওয়ার পরিকাঠামো তৈরি করার উদ্দেশ্য পূরণের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করা আমাদের লক্ষ্য। সর্বস্তরের মানুষ কে সঙ্গে সার্বিকভাবে একটি মজবুত অর্থনৈতিক সম্মৃদ্ধ অঞ্চল হিসাবে গড়ে উঠবে শান্তিপুর।”
    বাংলার সার্বিক উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে জনমুখী বিভিন্ন প্রকল্পের অংশ হিসাবে আজ, শান্তিপুর হ্যান্ডলুম অফিসে তাঁত-বস্ত্রের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির জন্য একটি আঞ্চলিক সহায়তা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য এ কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগ ও বস্ত্র এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ , প্রতিমন্ত্রী রত্না ঘোষ, শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিনা প্রামানিক, শান্তিপুর পৌরসভার সভাপতি সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক আধিকারিক।

    ইতিমধ্যে শান্তিপুরের উৎপাদিত তাঁতের শাড়ির আন্তর্জাতিক বাজারে বিপণনের জন্য বিধায়ক ব্যক্তিগত উদ্যোগে বৈদেশিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন শিল্পদ্যোগীকে শান্তিপুরে নিয়ে এসে তাঁতের কাপড় এবং তাঁত শিল্পীদের সঙ্গে পরিচয় করান। তাঁরাও এখানকার উৎপাদিত তাঁতজাত বস্ত্রের প্রতি আগ্রহও দেখান।

    আন্তর্জাতিক ট্রেডিং নিয়ে পড়াশোনা করা বিধায়ক অরিন্দম বাবু শান্তিপুরের মৃতপ্রায় তাঁত শিল্পকে কতটা চাঙ্গা করতে পারেন সেটা সময় বলবে। তবে, আপাতত
    শান্তিপুরের বিধায়কের উদ্যোগে রাজ্য সরকারের সার্বিক উন্নয়নমুখী প্রয়াস হিসাবে শান্তিপুরের তাঁত শিল্প কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত এই ‘টেক্সটাইল হাব’ উদ্বোধনে দৃশ্যত খুশি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত
    শান্তিপুর বাসী।