হরিশ্চন্দ্রপুরে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালানো ৬০ জন পরিযায়ী শ্রমিক, এলাকায় আতঙ্ক

 

    হরিশ্চন্দ্রপুর,২২ মে,মহ:নাজিম আক্তার: লালারস পরিক্ষার কোনো খবর নেই, সরকারি পক্ষ থেকে কোনো খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও নেই প্রভৃতি অভিযোগ তুলে প্রায় ৬০ জন পরিযায়ী শ্রমিক এক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।এই নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে আতঙ্ক। পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সুলতান নগর জিপির ছত্রক গ্ৰামে।

    গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায় প্রায় তিন থেকে চার দিন আগে কেউ বা বাসে করে,কেউ বা গাড়ি ভাড়া করে ছত্রক গ্ৰামে ৬০ জন পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে আসে।
    গ্রামবাসীরা নিজ উদ্যোগে ছত্রক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখার ব্যবস্থাও করে বলে জানায়।কিন্তু চার দিন কেটে গেলেও সরকারি পক্ষ থেকে লালারস পরিক্ষা ও খাওয়া-দাওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এদিন সকালে সব পরিযায়ী শ্রমিক পালিয়ে বাড়ি চলে যায়।

    গ্ৰামবাসী সেখ আসমাউন হক জানান,গ্ৰামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে এই কোয়ারেন্টাই সেন্টারটি খোলে।৬০ জন পরিযায়ী শ্রমিক ছিল। সরকারি পক্ষ থেকে কোনো খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা না থাকলেও গ্রামবাসীরা সাবান, স্যানিটাইজার দেওয়ার পাশাপাশি চায়ের ব্যবস্থা করে দেন। রবিবার ঈদ। এখনো পর্যন্ত সরকারি পক্ষ থেকে লালারস পরিক্ষার কোনো খবর না হওয়ায় শ্রমিকরা পালিয়ে বাড়ি চলে যায়।গ্ৰামের আশা কর্মি বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ফিরে আসার কথা বললেও তারা কেউ আসেনি বলে জানান।আগামী কাল ও পরশু প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক আবার গ্রামে ঢুকছে।৬০ জন শ্রমিকের মত তাঁরাও হয়তো কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে না থেকে বাড়িতে থাকার দাবি তুলবে বলে মনে করছে গ্ৰামবাসীরা।

    সুলতান নগর জিপির প্রধান ওয়াহেদা খাতুন জানান, শ্রমিকদের পালিয়ে যাওয়ার খবরটি পেয়েছে। সরকারি পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থ হয়নি বলে জানান।

    হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের বিডিও প্রীতম সাহা জানান, প্রশাসনকে বলে তাদেরকে আবার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে আসার ব্যবস্থার কথা বলেন।

    হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ অমল কৃষ্ণ মন্ডল জানান এখন আপাতত লালারস পরিক্ষা বন্ধ রয়েছে। সরকারি পক্ষ থেকে নির্দেশ আসলে আবার পরিক্ষা শুরু হবে বলে জানান।