|
---|
মহম্মদ নাজিম আক্তার, নতুন গতি, হরিশ্চন্দ্রপুর: ভোট আসে ভোট যায় এলাকার মানুষদের প্রতিশ্রুতি দিলেও রাজনীতিবিদরা রাখেননা কথা এমনটাই অভিযোগ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়াডাঙি গ্ৰামের বাসিন্দাদের। বাসিন্দাদের আরো অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আবেদন-নিবেদন জানিয়েও বেহাল কাঁচা রাস্তাটি পাঁকা হলো না আজও। স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তা ব্যাক্তিরা জেনেশুনেও উদাসীন রয়েছেন বলে অভিযোগ।তাই আসন্ন বিধানসভা ভোটে গ্রামবাসীরা ভাবছেন রাস্তা সংস্কার না হলে তারা বিধানসভা নির্বাচনে ভোট বয়কট করবেন।
জানা গিয়েছে দীর্ঘ ২ কিলোমিটার পঞ্চায়েত
রাস্তা প্রায় একশত বছর ধরে বেহাল অবস্থা রয়েছে। কোন রূপ সংস্কার হয়নি ।এলাকার নেতৃত্বরা জানেন,সবাই দেখছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এই রাস্তা ধরে যেতে হয় গ্রামবাসীদের ‘ হরিশ্চন্দ্রপুর, তুলসিহাটা ব্যাংকে এবং হাসপাতাল ও মার্কেটেও। ছাত্র-ছাত্রীদের মহেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তে যেতে হয়।শুধু স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী নয়, এছাড়াও কৃষকরা তাদের উত্পাদিত পণ্য নিয়ে আসা- যাওয়া ও বাজারে বিক্রয় এর জন্য এই রাস্তা ব্যবহার করে থাকেন ।প্রত্যহ কোনো না কোনো দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় তাদের ।পন্য নিয়ে যাওয়ার সময় যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে ।ছাত্র ছাত্রীদের সরকারের দেওয়া সবুজ সাথী সাইকেল থাকলেও রাস্তা বেহাল হওয়ার জন্য পায়ে হেটেই যেতে হয় স্কুলে ।অবশেষে এলাকাবাসীরা বিরক্ত হয়ে এবারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভোট বয়কট করবে বলে জানিয়েছেন ।
এক স্থানীয় বাসিন্দা ইন্দ্র মোহন দাস বলেন ‘পঞ্চায়েত প্রধান, মেম্বার ও বিডিও কে রাস্তাটি সংস্কার করানোর ব্যাপারে বারবার জানানো হয়েছে কিন্তু কেউ কথা শুনেনি।আমরা দিনমজুর খেটে খাই, এইরকম রাস্তার অবস্থা হলে কিভাবে কাজ করব ।সময় ও পরিশ্রম দুটোই বেকার হয়ে যায় ।তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবারের ভোট বয়কট করব ।’
আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা শুক দাস জানান ব্রিটিশ আমল থেকে এ রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বর্ষা আসতেই রাস্তায় জল জমে দুর্গন্ধ ছড়ায়। মশা-
মাছির উপদ্রব বেড়ে যায়। গ্রামে এম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না। গ্রামের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতলে খাটে করে নিয়ে যেতে হয়। রাস্তার মধ্যে জল জমে কাদা হয়ে যায় ফলে বাড়ি থেকে মানুষজন বার হতে পারে না। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাস্তা সংস্কার না হলে ভোট বয়কটের হুমকি দেন।
মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা নিতা দাস এর স্বামী পঙ্কজ কুমার দাস জানান রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ৩. ৪৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বনসরিয়া নিমাই দাসের বাড়ি থেকে কমিউনিটি হল পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের কথা থাকলেও তা অর্থাভাবে করা হয়নি। এর পরিবর্তে সব থেকে বেহাল ৮০ মিটার রাস্তা কংক্রিটের ঢালাই করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তাটির ব্যাপার নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু ও জেলা পরিষদের সদস্য শ্যামল মন্ডল কে জানানো হয়েছে। এম জি এন আর ই জি এস প্রকল্প থেকে তিন লক্ষ টাকা করে দুটি স্কিম ধরা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি পেলেই শিগ্রই রাস্তার কাজ শুরু হবে বলে জানান।