সিবিআইয়ের সঙ্গে কুকুরের তুলনা টেনে তীব্র বিতর্কে হাসনের তৃণমূল বিধায়ক!

নিজস্ব সংবাদদাতা:  সিবিআইয়ের (CBI) সঙ্গে কুকুরের (dog) তুলনা টেনে তীব্র বিতর্কে (controversy) হাসনের (birbhum) তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) অশোক চট্টোপাধ্য়ায়। বললেন, ‘প্রমাণ ছাড়াই যা খুশি তাই করছে। যেখানে যেখানে বিজেপি-বিরোধী শক্তি (Anti BJP), সেখানে কিছু কুকুর ছেড়ে দিয়েছে।’ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam), কয়লা (coal scam) ও গরু পাচার (cattle smuggling), একের পর এক ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার তৎপরতার পর আক্রমণে তৃণমূল বিধায়ক।

    তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়। যেখানেই বিজেপি বিরোধী শক্তি, সেখানেই কিছু ‘কুকুর’ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়,’দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও সিবিআই দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে।’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অভিযান নিয়ে তৃণমূল জনপ্রতিনিধির এমন বেলাগাম আক্রমণের পাল্টা সমালোচনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বীরভূম বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার কটাক্ষ, ‘উনি ভয় পেয়ে ভুল বকা শুরু করেছেন। যে ভাবে সিবিআই, ইডি-কে কুকুর বলা শুরু করেছেন তার অর্থ একটাই। যে যে কোনও দিন ওঁর বাড়িতেও ইডি, সিবিআই আসতে পারে। লোকমুখে শোনা যাচ্ছে, হাসনের বিধায়ক বহু জায়গায় লজ কিনেছেন। নামী-বেনামী প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। সেই জন্য ভয় পাচ্ছেন। সেই কারণেই এই ধরনের বক্তব্য রাখছেন।’

    ইডি-সিবিআই অভিযান…

    নিয়োগ দুর্নীতি থেকে কয়লা ও গরু পাচার, একের পর এক মামলার তদন্তে রাজ্য়ে সক্রিয় ইডি-সিবিআই। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আগেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ট বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি যার পরে তোলপাড় পড়ে যায় বঙ্গ রাজনীতিতে। ইডি সূত্রে খবর, অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকার পাশাপাশি বিপুল সোনার গয়না, বিদেশি মুদ্রা, বেনামী সংস্থা ও সম্পত্তির নথি পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীদের বক্তব্য, এগুলির যুক্তিযুক্ত উৎস দেখাতে পারেননি পার্থ-অর্পিতা। পরে গরু পাচার মামলায় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এতেই শেষ নয়। বর্ধমান সানমার্গ ওয়েলফেয়ার চিটফান্ড কাণ্ডে নাম জড়ায় হালিশহরের তৃণমূল পুরপ্রধান রাজু সাহানির। তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। দাবি, পুরপ্রধানের বাড়ি থেকে ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। তাইল্যান্ড, হংকং ও ব্যাঙ্ককেও তিনটি অ্যাকাউন্টের হদিশ মেলে তাঁর। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে চাপে শাসকশিবির। তার পর এমন মন্তব্য শাসক শিবিরের বিধায়কের।