|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চাইল হাইকোর্ট। রাজ্য সরকার চাইলে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করতেই পারে। কাল দুপুর দুটোর মধ্যে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ। কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, ”গঙ্গাসাগর মেলায় যাঁরা যাবেন, কিংবা যাঁরা যাবেন না, সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় প্রত্যেকের কথা মাথায় রাখতে হবে, আশা করি বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।”
চিকিৎসক,পুলিশকর্মীদের সংক্রমণের বিষয়টিও বিবেচনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মেলার জন্য কী ব্যবস্থা করেছে সরকার? কতজন আসবেন? প্রশ্ন হাইকোর্টের। গতবার ৮ লক্ষ মানুষ এসেছিলেন মেলাত। গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের আইনজীবীর সওয়াল, ”এবার গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কমেছে। ওমিক্রন বেশি সংক্রামক হলেও, গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কমেছে”। মামলাকরীদের পক্ষ থেকে পালটা বলা হয়েছে, ”ডেল্টা কি চলে গেছে? ৪০০-র কাছে চিকিৎসক আক্রান্ত, এভাবে হলে তো ভেঙে পড়বে পরিষেবা। গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে হাইকোর্টে আশঙ্কা ওয়েস্ট বেঙ্গল চিকিৎসক ফোরামের। পুণ্যার্থীদের অধিকাংশই কলকাতা হয়ে সাগরে যান। ফলে কলকাতার অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।”
এর আগে, গত সোমবার গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করলেন চিকিৎসক অভিনন্দন মণ্ডল। ‘প্রায় ৩০ লক্ষের সমাগমে বাড়তে পারে করোনার সংক্রমণ’ আর তাতেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে খবর। চলতি সপ্তাহেই গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
৭ দিনে রাজ্যে প্রায় সাড়ে ১০ গুণ বেড়েছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। মকর সংক্রান্তির দিনই সবচেয়ে বেশি ভিড় হয়। গঙ্গাসাগরে আসা ৯০ শতাংশ পুণ্যার্থীই আসেন লোকাল ট্রেনে। এ বিষয়ে রেলের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।