|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : পরিবারের হাল ধরতে মাস দেড়েক আগে কাজের সন্ধানে মহারাষ্ট্রে গিয়েছিলেন ডানকুনির চন্ডীতলার যুবক সাহেব মালিক। মঙ্গলবার সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে প্লাস্টিকে মোড়া নিথর মৃতদেহ ফিরে এল তার বাড়িতে। কীভাবে ছেলের মৃত্যু হল তা জানার জন্য মৃতদেহের ময়নাতদন্তের দাবি তোলেন পরিবারের লোকজন। সেই দাবিতেই হাসপাতালের সামনে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা।স্থানীয় সূত্রে খবর, হুগলির চন্ডীতলার লক্ষণপুরের বাসিন্দা সাহেব মালিক। বয়স আনুমানিক ২৬ বছর। দেড় মাস আগে স্থানীয় একজনের সঙ্গে কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রে। সেখানে আপুরায় স্বর্ণশিল্পের কাজে নিযুক্ত হন। মঙ্গলবার সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তার প্লাস্টিকে মোড়া মৃতদেহ দিতে আসে দুই ব্যাক্তি। কী ভাবে মৃত্যু হল, ওই দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করেন পরিবারের সদস্যরা। তাদের থেকে কোনও রকম সদুত্তর না পাওয়াতে তাদের আটকে রাখেন স্থানীয়রা। এরপর অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে গ্রামবাসীরা স্থানীয় হাসপাতালে হাজির হন। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়না তদন্তের আর্জি জানান তারা। খবর যায় পুলিশে।এইদিন সকাল থেকেই এলাকার বহু মানুষ একত্রিত হয়। হাসপাতাল বা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও উত্তর না পেয়ে তারা রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। বিক্ষোভ অবরোধের জেরে ২৬ সি রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। মৃত যুবকের মা ছবি মালিক জানান, গত শনিবার দুপুরে তার ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। ছেলে বলেছিল দোকান মালিক টাকা দিচ্ছেনা। ছেলে দুই হাজার টাকা মাকে পাঠাতে বলে কারণ সে নাকি বাড়ি ফিরতে চায়। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে তার ছেলের ফোন সুইচ অফ বলে জানান মৃতার মা। তার অভিযোগ ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তিনি বিচার চান।স্থানীয় গ্রামবাসী বাপ্পা ঘোষ বলেন, ওখানে কি হয়েছে জানি না। যারা কাজে নিয়ে গিয়েছিল তাদের জিজ্ঞাসা করলে কখনও বলছে হার্টফেল করে মারা গেছে, কখনও বলছে পড়ে গিয়ে মারা গেছে। এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। অ্যাম্বুলেন্স চালক সাইনাত কাশীনাথ মানে বলেন, তার মালিকের নির্দেশে তিনি মৃতদেহ কলকাতায় পৌঁছে দিতে এসেছিলেন। মহারাষ্ট্রের হিঙ্গোলী জেলা হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ নিয়ে আসেন তিনি।অ্যাম্বুলেন্সে মোট চারজন ছিল। মৃত সাহেবের এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রওনা দেন তারা। স্থানীয় দুইজন ছিল। তারা এখানে পৌঁছানোর পর বাইক নিয়ে মৃতের বাড়ি দেখিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় সে।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা। চন্ডীতলা থানার পুলিশ জানিয়েছে যেহেতু মহারাষ্ট্রে মারা গেছে তাই সেখানেই ময়না তদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বোঝা যাবে। ঘটনায় এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ হলে তদন্ত হবে।