রাতারাতি উধাও প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ, তৃণমূল শিক্ষা সেলের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ বিজেপির শিক্ষক সংগঠনের

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল থেকে দুটি বিদ্যালয়ের শূন্য পদ সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে মেল পাঠালো বিজেপি প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সংঘ। তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সেলের সদস্যদের সুবিধা পাইয়ে দিতেই এই কারচুপি করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপি সমর্থক শিক্ষক সংগঠনের।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সংঘের রাজ্য সহ-সম্পাদক উজ্জল তালুকদার বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের বিদ্যালয়গুলিতে ফের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে। 26 জুন শূন্য পদের যে তালিকা দেখানো হয়েছিল তাতে অন্য বিদ্যালয় এর সঙ্গে গাজোলের চন্দ্রাবতী সাহা বিদ্যাপীঠ এবং রতুয়া 1 ব্লকের দেবীপুর আর আর এল বিদ্যাপীঠের প্রধানশিক্ষকদের শূন্য পদেরও উল্লেখ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে 28 জুন শূন্য পদের তালিকা থেকে মালদহের ওই দুটি বিদ্যালয়ের নাম সরিয়ে নেওয়া হয়। কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপির শিক্ষক সংগঠন।
উজ্জল বাবুর অভিযোগ, মালদার ওই দুটি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা তৃণমূল কংগ্রেসের মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের সক্রিয় সদস্য সক্রিয়। ওই দুটি বিদ্যালয় স্থায়ী প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত হলে তৃণমূল পন্থী শিক্ষকদের প্রভাব ক্ষুণ্ন হবে। তাই তাদের আধিপত্য বজায় রাখতেই রাতারাতি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের শূন্য পদের তালিকা থেকে মালদার ওই দুটি স্কুলকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে ইমেইল করে অভিযোগ জানিয়েছেন বি জে পি পন্থী শিক্ষকর।
তবে বিজেপির অভিযোগ কে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল পন্থী মাধ্যমিক শিক্ষকদের সংগঠন। চন্দ্রাবতী সাহা বিদ্যাপীঠের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উত্তীয় পান্ডে বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। পুরোটাই প্রশাসনিক ব্যাপার। আমি তৃণমূল করি বলে বি জে পি পন্থী শিক্ষক সংগঠন আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। একই বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেস মাধ্যমিক শিক্ষা সেলের জেলা সভাপতি বিপ্লব গুপ্তর। তিনি বলেন, শূন্য পদের পুরো বিষয়টি দেখভাল করেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক এর অফিস। ফলে কোন ত্রুটি বিচ্যুতি হয়ে থাকলে তার দায় ওই দপ্তরের। সুনাম নষ্ট করার জন্যই তৃণমূলকে এর মধ্যে জড়ানো হচ্ছে।
তবে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তাপস বিশ্বাস বলেন, দেবীপুর আর এল সাহা বিদ্যাপীঠ এবং চাঁচল এর অন্য একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ নিয়ে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরাও এই বিষয়টি নিয়ে অবগত। সেই জন্যই হয়তো ওই বিদ্যালয়ের শূন্য পদ টি পরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাদবাকি সব কটি শূন্য পদই দেখানোর কথা। চন্দ্রাবতী সাহা বিদ্যাপীঠের শূন্য পদ কেন দেখাচ্ছে না তা মালদায় বসে আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।