|
---|
জাকির হোসেন সেখ: বাল্যকালে পিতৃহারা ভেঙে পড়েনি। আল আমিন মিশনের বীরভূমের পাথর চাপড়ি শাখা থেকে ৪৮২ নম্বর অর্থাৎ ৯৬.৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে এবারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় চতুর্দশ (১৪তম) স্থান অধিকার করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছে মুর্শিদাবাদের সাহারিয়া তৃষা।
পিতার মৃত্যুর পর মা হোসনেয়ারা বিশ্বাসই ছিলেন সাহারিয়া তৃষার মাতা এবং পিতাও। মায়ের সান্নিধ্যে বড় হয়ে ওঠা সাহারিয়া মায়ের কাছে থেকেই পেয়েছে পিতার শাসন। মা হোসনেয়ারা বিশ্বাসের নয়নের মনি হলেও কন্যাকে অনুশাসনে এতটুকু ছাড় দেননি তিনি। স্বল্প মাইনের একজন এসএসকে শিক্ষিকা হয়েও পাঁচ বছর পূর্বে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে সাহারিয়ার পড়াশোনার সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতে কোন আপোষ করেননি মা হোসনেয়ারা বিশ্বাস।
তাই স্বাভাবিক ভাবেই মেয়ের এই সাফল্যে ফলে তিনি আনন্দাশ্রু সামলাতে পারেননি। কান্নাভেজা গলায় তিনি বলেন, “আমিই ওর মাতা পিতা। আমিই ওর সব।”
তারপর বলেন, যে বয়সে প্রত্যেক সন্তান তার মা বাবার বড্ড বেশি স্নেহ আদর পেতে চায়, সেই বয়সেই মেয়েটা পিতৃহারা হয়ে গিয়েছিল।”
মেয়েকে নিয়ে আগামীতে স্বপ্ন কি আপনার ? এই প্রশ্নের জবাবে হোসনেয়ারা বিশ্বাস বলেন, “এখন আমি আর মেয়ের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবো না। তবে আমি চাইবো আগামীতে সাহারিয়া তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে সমাজের উপকার সাধন করুক। তবে বুঝবো জীবনযুদ্ধে লড়াই আমার সফল। মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট এই কামনাই করি।”