হিজাব বিতর্কের রেশ আছড়ে পড়ল মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ থানা এলাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক:- ফের একবার হিজাব বিতর্কের রেশ আছড়ে পড়ল মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ থানা এলাকায়।বুধবার সামশেরগঞ্জের সাহেবনগর হাই স্কুলের কয়েকজন ছাত্রী বোরখা এবং হিজাব পরে স্কুলে ঢুকলে, তাদেরকে ক্লাস করতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। স্কুল থেকে বার হয়ে প্রচুর ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরে সামশেরগঞ্জ থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকাতে পৌঁছয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সামশেরগঞ্জের সাহেবনগর হাইস্কুলে প্রায় ছয় হাজার ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে। কোভিড অতিমারির পর স্কুল খোলার পর থেকে বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী স্কুলের পোশাক না পরে যে যার নিজের পছন্দ মতো পোশাক পরে স্কুলে আসছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ এনামুদ্দিন আলি একটি নির্দেশিকা জারি করে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্কুলের পোশাক, নেভি-ব্লু প্যান্ট এবং সাদা জামা এবং মেয়েদেরকে নীল সাদা চুড়িদার অথবা ওই রঙের বোরখা বা হিজাব পরে স্কুলে আসতে বলেন। তবে বুধবার সকালে স্কুল খোলার পর বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী স্কুলের অনুমোদিত পোশাক না পরে যে যার খুশি মতো পোশাক পরে স্কুলে আসলে প্রধান শিক্ষক কয়েকজনকে ক্লাস থেকে বের করে দেন। এরপর বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে খবর ছড়িয়ে পড়ে বোরখা পরে স্কুলে আসার জন্য ছাত্রীদেরকে স্কুল থেকে বার করে দেওয়া হচ্ছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্র এলাকার বাসিন্দারা স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের সাথে যোগ দেয় স্কুলের বেশকিছু ছাত্র-ছাত্রী। স্কুলের একাধিক ছাত্র-ছাত্রী অভিযোগ করে, ‘আমাদের বাবা-মা অত্যন্ত গরিব। তাই একদিনের মধ্যে আমাদের নতুন পোশাক বানানোর ক্ষমতা নেই। আমরা নতুন ইউনিফর্ম তৈরির জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে কয়েকদিন সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তা শুনতে রাজি নন।’ সাহেবনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ এনামুদ্দিন আলি দাবি করেন, ‘আজ সকালে কেউ বা কারা মিথ্যে প্রচার করে যে হিজাব এবং বোরখা পরে আসার জন্য আমি কয়েকজন ছাত্রীকে স্কুল থেকে বার করে দিয়েছি। এই অভিযোগ ঠিক নয়। আমার স্কুলের প্রায় ৬ হাজার ছাত্রছাত্রীর মধ্যে মাত্র ২৫-৩০ জনকে স্কুলের ইউনিফর্মের রংয়ের পোশাক বা হিজাব অথবা বোরখা না পরে আসার জন্য আজ ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।