|
---|
নিজস্বা সংবাদদাতা : ‘পরাধীন ভারতবর্ষে সতীদাহ প্রথা নিবারণ, বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ রোধ, বিধবাবিবাহ প্রচলনের মধ্যেও নারীর ক্ষমতায়ন ছিল। আর একালে সামাজিকীকরণের মধ্যে দিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে।’ শনিবার হিঙ্গলগঞ্জ কলেজে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে একটি আলোচনা সভায় সূচক বক্তৃতা দিতে গিয়ে কথাগুলি বলেন হীরালাল মজুমদার মেমোরিয়াল কলেজ ফর উইমেনের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. প্রদীপ্ত মুখার্জি। এই আলোচনা সভায় আইনজীবী শান্তনু চৌধুরী বলেন, ‘নাবালিকারা পুরুষের লালসার শিকার হলে তার জন্য পকসো আইন আছে এবং সেই আইনের প্রয়োগও আছে। তবুও তাদের উপর অত্যাচার এখনও হয়ে চলেছে। তা বন্ধ করতে হলে একদিকে যেমন সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে অন্যদিকে পুরুষকেও সংযত হতে হবে।’
কলেজের আই.কিউ.এ.সি ও অ্যাকাডেমিক সাব কমিটির উদ্যোগে একদিনের এই রাজ্যস্তরীয় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন
ডায়মন্ডহারবারের ফকিরচাঁদ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, কলেজের দু’জন সহকারী অধ্যাপক, শিক্ষাবিজ্ঞান বিভাগের ড. পারমিতা সরকার ও ইতিহাস বিভাগের সৌমিতা মল্লিক, হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ জয়ন্তী বিশ্বাস যোদ্দার ও হিঙ্গলগঞ্জ মাইনরিটি উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক হালিমা খাতুন। আবুল কালাম আজাদ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নারী-সুরক্ষা বিষয়ক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। জয়ন্তী বিশ্বাস যোদ্দার বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে কিভাবে নারীদের আরও বেশি করে শিক্ষাঙ্গনে উপস্থিত করা যায় সেজন্য যে সমস্ত প্রকল্প রয়েছে সেগুলির কথা, বিশেষ করে কন্যাশ্রী প্রকল্প সম্পর্কে জানান। হালিমা খাতুন ইতিহাসের বিশিষ্ট নারীদের প্রসঙ্গ তুলে উপস্থিত ছাত্রীদের উৎসাহিত করেন। সেমিনারের শুরুতে অতিথি ও বক্তাদের কলেজের ‘ওমেন স্টাডিজ’এর ছাত্র-ছাত্রীরা উত্তরীয় ও ফুলের স্তবক দিয়ে বরণ করে নেয়। আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন আই.কিউ.এ.সির কো-অর্ডিনেটর তথা ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শামীম ভড়। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ড. মহাব্বতুন্নেসা খাতুন ও ড. ঈশিতা দে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন কলেজের একাডেমিক সাব কমিটির আহ্বায়ক তথা ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মনামী মুখার্জি।