হুগলিতে বন্যাদুর্গতদের ত্রান বিলি সাগরদিঘীর দুই সংগঠনের

রহমতুল্লাহ, মুর্শিদাবাদ : ডিভিসির ছাড়া জলে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত আরামবাগ মহকুমা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা খানাকুলের। শুক্রবার সকালে খানাকুলের কিশোরপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তালিত গ্রামে দ্বারকেশ্বর নদের বাঁধভাঙা জলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে আস্ত একটা বসত বাড়ি। এ দিন সকাল থেকে ছ’টি বসত বাড়ি ওই একই জায়গায় পরপর ভেঙে পড়ে। এ দিন পুরশুড়ার মাইতিপাড়ায় বন্যার জলে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। মৃতের নাম সুশান্ত মাইতি (৫০)। শনিবার মুর্শিদাবাদ জেলার দুটো সংগঠন ত্রাণ নিয়ে পৌছায় হুগলির খানাকুল থানার রামচন্দ্রপুর, কুশলী , রাজহাটি, সহ ওই এলাকার নিচের দিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়। এদিন নৌকায় ত্রান নিয়ে পৌছালো তরঙ্গ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এবং পিওর ইসলামীক দাওয়াত সেন্টারের সদস্যরা। বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে বন্যায় আটকে থাকা, রাস্তায় থাকা মানুষদের পাশে গিয়ে দাঁড়াল এই সংগঠন। দুই সংগঠনের কর্ণধার ইফতিকার আলম এবং মোঃ ইমরান হোসেনের বিশেষ সহযোগিতায় প্রায় দুই হাজার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ত্রাণ পেলো । উপস্থিত ছিলেন এমদাদুল হক, জামিল সেখ, সম্রাট সেখ, তৌহিদুল হক, মিঠুন দাস প্ৰমুখ।