হুগলির গোঘাটে দুই তৃণমূল কর্মীকে মারধরের ও বঁটির কোপ মারার অভিযোগও উঠেছে গ্রেফতার করা হয়েছে হোটেল মালিক ও তাঁর ছেলেকে

নিজস্ব সংবাদদাতা : হুগলির গোঘাটে দুই তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে। বঁটির কোপ মারার অভিযোগও উঠেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে হোটেল মালিক ও তাঁর ছেলেকে। মদ কিনতে গিয়ে প্রথমে মালিককেই মারধর করেন তৃণমূল কর্মীরা। পাল্টা অভিযোগ হোটেল কর্মীর।

     

    কী ঘটনা:

    হোটেলের মধ্যেই আক্রান্ত হলেন দুই তৃণমূল কর্মী। তাঁদের বঁটি দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গোঘাটে। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের দাবি, বকুলতলার এই হোটেলে রুটি কিনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, অন্য ক্রেতাদের আগে খাবার দিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল কর্মী চন্দন ঘোষ ও বিকাশ রানা। অভিযোগ, তখনই তাঁদের উপর বঁটি নিয়ে চড়াও হন হোটেল মালিক ও তাঁর ছেলে। এক তৃণমূল কর্মীর মাথায় আঘাত লাগে। অন্যজনের হাতের আঙুল কেটে যায়। 1

     

    কী বলছেন অভিযোগকারী:

    গোঘাটের আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী বিকাশ রানা বলেন, ‘আমরা হোটেল রুটি আনতে গেছিলাম, বলছে একটু দেরি হবে। তখন আমরা বলি পরে যাঁরা এসেছেন তাঁদের দিয়ে দিয়েছো। তখনই মদের কারবার কেন চলছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন করি। বলি হোটেলে খাবার খাওয়া আগে? না মদের কারবার আগে? তখনই হোটেল মালিক বাবা-ছেলে আমাদের উপর চড়াও হয়। বটি দিয়ে হামলা চালায়। সহকর্মীর মাথায় আঘাত ধারালো অংশ দিয়ে, আমার আঙুল কেটে যায়।’

     

    পাল্টা অভিযোগ:

    হোটেলের এক কর্মীর আবার পাল্টা দাবি, মদ কেনা নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে মালিকের। এমনকী প্রথমে হোটেল মালিককেই মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওই কর্মীর। গোঘাটের ওই হোটেলের কর্মী রাজু রায় বলেন, ‘হয়ত বিনা পয়সায় মদ চেয়েছিল, ওরাই প্রথমে আমার মালিককে মারে।’

     

    এমন ঘটনার জেরে রাতেই হোটেলটি বন্ধ করে দেয় পুলিশ। হোটেলের মালিক অসিত দে ও তাঁর ছেলে পিরু দে-কে গ্রেফতার করা হয়েছে।