অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালো হাওড়া এবং কলকাতার আট বাইক আরোহী

নিজস্ব সংবাদদাতা : অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালো হাওড়া এবং কলকাতার আট বাইক আরোহী। রেসিং বাইক নিয়ে তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন বিশ্বের সর্বোচ্চ গাড়ি চলার রাস্তায়। যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৯ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায়।বছরখানেক আগে ১৯ হাজার ২৪ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত লাদাখের উমলিং লা পাসকে বিশ্বের সর্বোচ্চ গাড়ি চলার রাস্তার তকমা দেয় বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও)। এর আগে সর্বোচ্চ গাড়ি চলার রাস্তা হিসাবে ধরা হত খারদুংলা পাসকে। বাইক রাইডার্সদের কাছে এই সব দুর্গম গিরিপথ বরাবরের জন্য আকর্ষণীয়। তাই বিশ্বের সর্বোচ্চ গাড়ি চলার রাস্তায় যাওয়ার ইচ্ছা সামলাতে পারেননি হাওড়ার কদমতলার বাসিন্দা অর্ণব দাস এবং তাঁর সঙ্গীরা। প্রস্তুতি সেরে বাইক নিয়ে গত ১৫ জুন বেরিয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। উদ্দেশ্য ছিল, উমলিং লা পাসে পৌঁছনো। কিন্তু তা সহজও ছিল না।এই অভিযানে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন অর্ণব এবং তাঁর সঙ্গীরা। যে ধরনের বাইক নিয়ে এত উচ্চতায় যেতে হয় সেই রীতি ভেঙে একেবারে বিদেশি রেসিং বাইক নিয়ে তাঁরা যাত্রা শুরু করেন। হিমাচল প্রদেশে পৌঁছে তুষারপাতের মুখে পড়েন তাঁরা। এখান থেকে অন্য রুট ধরে তাঁরা যেতে চেয়েছিলেন উমলিং লা পাস। অর্ণবের কথায়, ‘‘আমি পেশায় অঙ্কের শিক্ষক। কিন্তু সে দিন সেই পরিস্থিতিতে সব অঙ্ক ভুল হয়ে গিয়েছিল।’’ বরফের রাস্তায় বাইক থেকে পড়ে তাঁর কাঁধের হাড়ে চিড় ধরেছে। কিন্তু অদম্য মনের জোরে শেষপর্যন্ত লক্ষ্যে পৌঁছতে সফল হন তাঁরা। তঁদের আরও একটা লক্ষ্য ছিল, পাহাড়ে প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসপত্র বর্জনের জন্য সচেতনতা তৈরি করা। এই দুর্গম যাত্রাপথে যেখানেই তাঁরা প্লাস্টিক পেয়েছেন সেগুলি কুড়িয়ে নিয়েছেন। আগামিদিনে এমন সচেতনামূলক প্রচার আরও চলবে বলেও জানিয়েছেন অর্ণব।