|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন গোটা বঙ্গবাসী তথা ভারতের অন্যান্য জায়গাগুলিতেও যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য সবচেয়ে বৃহত্তম স্থান। এবার রেল কর্তৃপক্ষ এই স্টেশনের অনেক পরিবর্তন ঘটাতে চাইছেন। এই বহু প্রাচীন রেলওয়ে স্টেশনটিকে এবার সর্ব আধুনিক সম্পন্ন করে তোলা হবে। রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশনের এত বড় বিস্তর আগাপাশতলা পরিবর্তন দেখার জন্য এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা করতে হবে। হাওড়ার ডিআরএম মনিশ জৈন এমনটাই প্রকাশ করেছেন। শোনা যাচ্ছে এই রেল স্টেশনে একদম এয়ারপোর্টের মতো সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।আসলে রেল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে দেশ জুড়ে মোট ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনকে অত্যাধুনিক করা হবে। হাওড়া স্টেশনও জায়গা পেয়েছে সেই তালিকায়। এই রেলওয়ে স্টেশন সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যাবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই। এই রেলস্টেশনটি পুরো তৈরি হবে ঝাঁ চকচকে এয়ারপোর্ট স্টাইলে। দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই স্টেশনে যাত্রীসংখ্যা। আর সেই কথা মাথায় রেখেই এই আধুনিক স্টেশন গড়ে তোলা হয়েছে। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে হাওড়া রেলস্টেশন।যাত্রী সংখ্যার কথা মাথায় রেখে এবার ইন্ডিয়ান রেলওয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাওড়া থেকেও ২৬ বগির ট্রেন চালানো হবে। এজন্য সম্প্রসারণ করা হবে হাওড়া স্টেশন প্ল্যাটফর্ম। অন্যদিকে প্রত্যেকে যাতে কারশেড থেকে প্ল্যাটফর্মে ঢুকতে সুবিধা পায় সেই জন্য বামনগাছি এবং চাঁদমারির দুটি সেতু ভেঙে ফেলে নতুন করে গড়ে তোলা হবে। ১৮০ কোটি টাকা খরচ করে নতুনভাবে চাঁদমারির সেতু গড়ে তোলা হবে। শোনা যাচ্ছে, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর আদলেই বানানো হবে এই সেতু। এই সেতু তৈরি হওয়ার পরেই রেললাইন ও প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ করা সম্ভব।এছাড়াও হাওড়ার ডিআরএম জানিয়েছেন, “হাওড়া স্টেশনের চারপাশে এলিভেটেড রোড তৈরি হবে। এই রাস্তা ধরে খুব সহজে স্টেশনে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে। স্টেশনে নেমে যারা বাইরে বেরোবেন তাদের গ্রাউন্ড ফ্লোরের রাস্তা ধরতে হবে। হাওড়াতেও এবার বসার জন্য বিলাসবহুল লাউঞ্জ থাকবে, ঠিক যেমনটা এয়ারপোর্টে দেখা যায়। ট্রেনের ঘোষণা হলেই তৎক্ষণাৎ প্ল্যাটফর্মে যেতে পারবেন যাত্রীরা।” খবর শুনতে জানা গেছে হাওড়া রেলওয়ে স্টেশনের কাজ শেষ হওয়ার পর আপনি কি করনের কাজ শুরু হবে ব্যান্ডেল রেলওয়ে স্টেশনের।