|
---|
অতনু ঘোষ, মেমারি: করোনা আবহে যাবতীয় সতর্কতা মেনে ধামসা মাদলের তালে পালিত হলো হুল দিবস _প্রতিবছর ৩০শে জুন পালিত হয় হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস। ১৮৫৫ সালে আজকের দিনেই ‘সিদো,কানহু,র নেতৃত্বে জ্বলে উঠেছিল সাঁওতাল বিদ্রোহের আগুন। এটিই ইংরেজদের দেশ থেকে বহিষ্কার করার প্রথম সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন। কানুকে ফাঁসি দেওয়া হয় আর সিধুকে গুলি করে মেরে ফেলে ইংরেজ সিপাহিরা। তাদেরই স্মরনে প্রতিবছর পালিত হয় হুল দিবস।
সারা রাজ্যের পাশাপাশি এ দিন পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার অন্তর্গত চোটখন্ডপ্রতিবছর ৩০শে জুন পালিত হয় হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস। ১৮৫৫ সালে আজকের দিনেই ‘সিদো,কানহু,র নেতৃত্বে জ্বলে উঠেছিল সাঁওতাল বিদ্রোহের আগুন। এটিই ইংরেজদের দেশ থেকে বহিষ্কার করার প্রথম সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন। কানুকে ফাঁসি দেওয়া হয় আর সিধুকে গুলি করে মেরে ফেলে ইংরেজ সিপাহিরা। তাদেরই স্মরনে প্রতিবছর পালিত হয় হুল দিবস। সারা রাজ্যের পাশাপাশি এ দিন পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার অন্তর্গত চোটখন্ড* খেরওয়াল সুসৌর গাঁওতার উদ্যোগে হুল দিবস উদ্যাপন হলো দুর্গাপুর অঞ্চলের চোটখণ্ড ঝাপানতলার সন্নিকটে একটি সিধু কানহুর মূর্তি স্থাপনের মধ্য দিয়ে।। উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী সমাজের গুণী সম্মানীয় ব্যক্তি বর্গ সহ বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য বিশিষ্ট চিকিৎসক সুশীল মুর্মূ, আদিবাসী সমাজের বিশিষ্ট সমাজসেবী সনাতন হেমরম, মেমারি বিধানসভার বিশিষ্ট সমাজসেবী নিত্যানন্দ ব্যানার্জি, সুপ্রিয় সামন্ত, সৌরভ সাঁতরা, সন্দ্বীপ পরামানিক, অর্ক ব্যানার্জি দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিখা রায় উপপ্রধান নিতাই ঘোষ সহ এলাকার অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে এলাকার আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। অতিথি সকলকে আদিবাসী প্রথা অনুযায়ী বরণ করে নেন উদ্যোক্তারা। জাতীয় পতাকা ও আদিবাসী সমাজের পতাকা উত্তোলন করে এবং সিধু কানহুর অবয়ব মূর্তিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করেন মেমারি বিধানসভার বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য ও বিশিষ্ট চিকিৎসক সুশীল মুর্মূ। পরে একেএকে উপস্থিত সকলে বীর শহিদ সিধু ও কানুর নব্য স্থাপিত মূর্তিতে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বিশিষ্ট সমাজসেবী সুপ্রিয় সামন্ত উদ্যোক্তাদের 10 হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। করোনা আবহে যাবতীয় সতর্কতা মেনে ঐতিহাসিক এই দিনটিকে পালন করা হলেও বেশ কিছু মানুষের মুখের মাক্স না থাকায় দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে মাক্স বিতরণ করা হয়।ধামসা-মাদল ও আদিবাসী নৃত্য সহকারে এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মূল অনুষ্ঠান স্থলে আসে। প্রতিবছর ঐতিহাসিক হুল আন্দোলনের হাজারো শহিদের আত্মবলিদানকে স্মরণ করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। কিন্তু বর্তমানে সুবিধাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ‘হুল দিবস ‘ পালনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, তাতে একটা প্রশ্ন সামনে চলে আসছে ‘ হুল দিবস’ না ‘হুল উৎসব ‘?