তৃণমূলে যোগ দিলেন হবিবপুর বিধানসভার প্রাক্তন প্রার্থী সহ শতাধিক আদিবাসী, ভাঙন শুরু পদ্মফুলে

নিজস্ব সংবাদদাতা,মালদাঃ২৪ সেপ্টেম্বর

    মালদহের হবিবপুর ৪৩ নং বিধানসভায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল পরিবারে যোগদান অব‍্যাহত।
    বৃহস্পতিবার হবিবপুর ব্লক আদিবাসী তৃণমূল কমিটির উদ‍্যোগে কেম্দো পুকুরের ল‍্যাম্প সোসাইটি হলে একটি যোগদান কর্মসূচী আয়োজন করা হয় বলে খবর।

    যোগদান কর্মসূচীতে হাজির হয়েছিলেন মালদা জেলা আদিবাসী তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি চুনিয়া মুর্মু।
    চুনিয়া মুর্মুর হাত ধরে হবিবপুর ব্লক এলাকার চেটরা সংসদের বিজেপি সভাপতি বিমলা ওরা এর সাথে গোটা বুথের ৭৫ জন সক্রিয় বিজেপি কর্মী তৃণমূল পরিবারে যোগদিয়েছেন বলে দাবী করা হয়েছে হবিবপুর ব্লক আদিবাসী তৃণমূল কমিটির তরফে।

    এদিনের তৃণমূলের যোগদান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন ব্লক আদিবাসী তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি বিবেকানন্দ মারডি, সাধারণ সম্পাদক কিসটু মুর্মু, আকতল অঞ্চল সভাপতি অজিত হাসদা সহ একাধিক তৃণমূল কর্মী।

    পরে হবিবপুর ব্লকের কানতুরকা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ডাঙরা পাড়ার ল‍্যাম্প হলে এদিনের যোগদানের দ্বিতীয় কর্মসূচী অনুষ আদিবাসী তৃণমূলের বলে জানা গেছে।

    ওই যোগদান শিবিরে হবিবপুর বিধানসভার ২০১১ সালের বিএসপি-র প্রার্থী জগেশ্বর হেমব্রম সহ ননসা ও চকসুকুর সংসদ থেকে ৬০ টি পরিবার বিজেপি ও কংগ্রেস দল ত‍্যাগ করে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন।
    মালদা জেলা আদিবাসী তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চুনিয়া মুর্মুর হাত শক্ত করতে এই যোগদান বলে দাবী অঞ্চল নেতৃত্ব সুভাষ জোয়ারদারের।

    নিজের পাল্লা ভারী পেয়ে চুনিয়া মুর্মু বলেন, হবিবপুর এলাকার মানুষকে ঠকাচ্ছে বিজেপি। বিকাশের নাম করে এদের ঠাকচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। বঞ্চনার শিকার থেকে বাঁচতে ও ঘাসফুলর উন্নয়নে আপ্লুত হয়ে আজ হবিবপুরের মানুষ তৃণমূলে ঝোঁক দিয়েছে।
    আসন্ন বিধানসভাকে পাখির চোখ করে তিনি ওই এলাকায় পদ্মফুলকে নিশ্চহ্ন করবে বলে দাবী করেছে।

    যোগদানের বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন মালদা জেলা বিজেপি কমিটির সম্পাদক দীপঙ্কর রাম। তিনি বলেন আমরাই তো ওদের বাড়ীথে উজ্জ্বলা যোজনার গ‍্যাস থেকে শূরু করে বিভিন্ন রকমের প্রকল্প পৌঁছে দিচ্ছি। ওরা তৃণমূলে যোগদিলেও কাটমানির শিকার হবে বলে দাবী করেছেন তিনি।