আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনে এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোক স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে

     

     

     

     

     

     

     

     

    বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা :

    দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলতলিীর জালাবেরিয়া অঞ্চলের পালের চক গ্রামের বুদ্ধিশ্বর ঘরামির কন্যা মনসা ঘরামি, গত দুই বছর আগে হিন্দু ধর্মীয় প্রথা অনুসারে মথুরাপুর থানার অধিন লালুয়া গ্রামের কৃপা চাপাদারের পুত্র মিঠু চাপাদারের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। গত কাল রাত্রিতে ছেলের বাড়ির পক্ষ থেকে মেয়ের বাড়িতে খবর দেওয়া হয় মেয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। মেয়ের বাবা ফোনের মাধ্যমে খবর পেয়ে মেয়ে কে দেখতে যায়। পরে ঘটনাস্থলে প্রতিবেশীদের কাছে জানতে পারে কয়েক দিন ধরে মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বাপের বাড়ি থেকে কিছু নগত অর্থ আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করে । মেয়ে অর্থ না আনতে যাওয়াতে অবশেষে জামাই ও তার বন্ধুরা মিলে ধর্ষণ করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে প্রাণে মারে। মেয়ের পরিবারের লোকজন মেয়ে কে দেখতে গিয়ে জামাই ও শাশুড়ি কে আগুনে পোড়া মেয়ের সাথে নিয়ে আসে। পরে কুলতলি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার কে খবর দেন । কুলতলি থানার অধিকারিকরা আগুনে পোড়া মেয়ে টিকে জয়নগর রুরাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডঃ মৃত বলে ঘোষণা করেন । পরবর্তীতে কুলতলি থানার অফিসার মৃত মহিলার দেহ টিকে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয় । এই মূহুর্তে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া । মেয়ের শশুর বাড়ির এলাকায় বর্তমানে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে ঐ ঘটনা কে কেন্দ্র করে। সকলের দাবি ঐ ঘটনার মূল অভিযুক্ত কে ফাঁসি দেওয়া হোক এই আবেদন করেন।

     

    আমরা এখনও কোথায় পড়ে আছি? আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনে এরকম একটা জঘন্য ঘটনা ঘটে যাওয়া সমাজের প্রতি মোটেও শুভ নয়!