|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : বাগুইআটিতে বধূর রহস্যমৃত্যুর ঘটনা গ্রেফতার করা হল স্বামীকে । বধূর স্বামীকে গ্রেফতার করল নাগেরবাজার থানার (Nagerbazar Police Station) পুলিশ।মৃত বধূর আত্মীয়দের দাবি, বহুতলের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। মৃত ওই বধূর নাম তিতাস নন্দী। প্রতিবেশীদের অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে অশান্তি চলত তিতাসের।
তিতাস নন্দীর আত্মীয়রা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। জানা গেছে, ২৮ বছর বয়সী তিতাস নন্দী স্বামীর সঙ্গে ফ্ল্যাটে থাকতেন। গতকাল রাতে ওই বহুতলের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় তরুণীকে পাওয়া যায়। এই ঘটনার পরই তরুণীর বাড়ির লোকের অভিযোগ যে তাঁর স্বামী মাঝেমধ্যেই স্ত্রীয়ের ওপর অত্যাচার চালাতেন। এবং তাঁকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ আধিকারিকেরা বিভিন্ন ধরনের তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেন ও অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে নাগেরবাজার থানায় নিয়ে যান। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া চলে। আজ দুপুরের দিকে ওই তরুণীর বাড়ির লোকের তরফে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে তরুণীকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে মেরে ফেলা হয়েছে। এই অভিযোগ পুলিশের হাতে আসার পর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (বি) ধারা, অর্থাৎ বধূ হত্যা, সঙ্গে ৪৯৮ (এ) অর্থাৎ বধূ নির্যাতন এবং ৩০২ অর্থাৎ খুন, এই তিন ধারায় নাগেরবাজার থানায় এফআইআর হয়েছে। স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতার দেহ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের তরফে যে দাবি করা হয়েছে, যে বধূকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলা হয়েছে, তা প্রমাণের জন্য কোনও প্রত্যক্ষদর্শীর খোঁজ করছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। এছাড়া সাহায্য নেওয়া হচ্ছে ফরেন্সিক ডিপার্টমেন্টের। তাঁরাই বলতে পারবেন কোনও বাহ্যিক শক্তির প্রয়োগ হয়েছিল কি না।