“অফিসের ভিতরে বসে দেখলাম সব ধ্বংসস্তুপ হয়ে গেল’’ বিশ্বাস করতে পারছেন না বিজেপি জেলা সভাপতি

‘‘অফিসের ভিতরে বসে দেখলাম সব ধ্বংসস্তুপ হয়ে গেল’’ বিশ্বাস করতে পারছেন না বিজেপি জেলা সভাপতি

    নতুন গতি, রায়গঞ্জ: উত্তর দিনাজপুর জেলা দফতর আজ ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছে। চোখের সামনে বিজেপি কর্মীরাই কার্যালয়ের আসবাবপত্র এভাবে ভাঙচুর করছে সেই দৃশ্য আজও চোখে ভাসছে রায়গঞ্জ বিজেপি কর্মীদের। বিজেপি জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি নিজের ঘরে বসে সমস্ত ঘটনা চাক্ষুস করেছেন। সভাপতির দাবি বৃহস্পতিবার যা ঘটছে তা অত্যন্তই দুঃখজনক। কিন্তু যাঁরা তাঁর কাছে প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ জানাতে এসেছিলেন তাদের মধ্যে বিরোধীদলের কর্মী সমর্থকরা থাকতে পারেন এটা তাঁদের আশঙ্কা। তাঁরাই এই কাজ করতে পারে বলে মনে করছেন। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার বিজেপি নির্বাচনী কমিটি প্রার্থী তালিকা ঘোষনা করে। এই প্রার্থী তালিকায় উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষনা করা হয়নি। ইটাহারের বিজেপি কর্মীরা  সন্ধ্যা নাগাদ বিজেপি জেলা দফতরে হাজির হন। তাঁদের অভিযোগ,  ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্রে নিমাই সিংহকে প্রার্থী করতে হবে। ইটাহার কেন্দ্রে প্রার্থী করা হতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক অমল আচার্যকে। এই আশঙ্কা করে জেলা দফতরে দফায় দফায় ভাঙচুর চালায় ইটাহারে বিজেপি কর্মীরা। অধিক রাত পর্যন্ত চলে এই ভাঙচুর। বিজেপি জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী কার্যালয় ছেড়ে বাইরে বাইরে বেরোননি। চোখের সামনে দেখেছেন কার্যালয় কিভাবে ভাঙচুর করা হচ্ছে। বিশ্বজিৎবাবু দায়িত্ব নেবার পর একটা একটা করে উন্নয়ন করেছেন। সেই উন্নয়ন এক রাতে ধ্বংস করেছেন কর্মী সমর্থকরা। চোখের সামনে সমস্ত উন্নয়ন এক রাতে সব নষ্ট হয়েছে।

     শুক্রবার বিজেপি জেলা দফতর পুরোপুরি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। গতকালের পর আজও সেই একই বস্থায় পড়ে আছে। জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ি জানান, ‘‘গতকাল রাতে কার্যালয়ে যা হয়েছে সেটা ঠিক হয় নি। ’’তার অভিযোগ, ‘‘জেলা দফতরে যাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে এসেছিলেন তাদের মধ্যে বিরোধী দলের কেউ থাকতে পারেন, তাঁরাই এই কাজ করেছেন।’’ বিজেপি কর্মী অভিজিৎ রায় জানিয়েছেন, ‘‘বিজেপি জেলা দফতর যখন আগাছায় ভর্তি ছিল তখন থেকে এই কার্যালয়ে আসা। নিজের পয়সা দিয়ে কার্যালয়ে জিনিসপত্র তৈরি করা হয়েছে। সেই জিনিসপত্র গতকাল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।যারা এই কাজ করল তাঁদের কাউকে বিজেপি কার্যকর্তা হিসেবে মানা যায় না। প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ জানতে কিছু কর্মী এখানে এসে এই ভাঙচুর চালাল।’’ জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী জানান, ‘‘ঘটনাটি দুঃখজনক। প্রার্থী নিয়ে দলীয় কার্যকর্তারা এসেছিল। তাদের মধ্যে কিছু বিরোধী দলের কর্মীরা এখানে জেলা কার্যালয়ে ভাঙচুর চালালেন।’’