|
---|
বাবলু হাসান লস্কর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা: ইসলাম সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। ইসলাম ধর্মের মূলত দুই উৎসবের দ্বিতীয় উৎসব।
স্বপ্নে ঈশ্বরের আদেশে হযরত ইব্রাহিম আলায়েসাল্লাম তাঁর পুত্র ইসমাইলকে বলি দেওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যান। আর বলির স্থানে পশু কুরবানী দেখেন। জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখ থেকে বারো তারিখ পর্যন্ত কুরবানী ঈদ সংঘটিত হয়।এই দিনে মুসলিম সম্প্রদায়ের সংগতি সম্পন্ন ব্যক্তিরা কুরবানী দিয়ে থাকেন। তবে যে সমস্ত পরিবার কষ্ট সৃষ্টে উপার্জন করে তাদের ক্ষেত্রে কুরবানী না দিলেই চলবে এমনই বিধান রয়েছে । যে সমস্ত পরিবার সংসার চালিয়ে অর্থ মজুত করেছেন তাদের ক্ষেত্রে কুরবানী দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। ঈশ্বরের নৈকট্য লাভ করতে কুরবানী দিতে পারেন ছাগল, ভেড়া, গরু, মহিষ, উট,দুম্বা, প্রভৃতি। আল্লাহর অনুগত্য লাভের জন্য কুরবানী – শ্রদ্ধা প্রকাশ করার নিমিত্ত এই দিন সমূহ। ঈদ একটি আরবি শব্দ এই শব্দটির অর্থ খুশি উৎসব এবং আনন্দ,মূলত আরবি শব্দ হলেও বাংলা ইংরেজি উর্দু ও হিন্দি সহ প্রায় ভাষাতে অর্থের কোন পার্থক্য নেই। কোরবানির মাংস মূলত তিন ভাগে ভাগ করা হয় প্রথম ভাগ পরিবারের সদস্য বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনদের জন্য, দ্বিতীয় ভাগ গরিব মানুষদের জন্য, তৃতীয় ভাগ কাছের ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষদের জন্য ।এই দিনে সকলে নতুন বস্ত্র পরিধান করে সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহারের মাধ্যমে দিয়ে তারা ঈদের নামাজ আদায় করতে যান। আর ঈদের নামাজ আদায়ের পর কুরবানী সম্পন্ন করেন।