ইফতার মজলিসে সম্প্রীতির বার্তা,ঈদের নামাজ শেষে পুরোহিত সন্নিকটে ইমাম সংগঠনের প্রতিনিধি

আর এ মণ্ডল (সোনামুখী) : বাঁকুড়া জেলার “ইমাম মুয়াজ্জিন ও উলামা সংগঠন,” সোনামুখী ব্লকের ধানশিমলা সিরাজপল্লী জামা মসজিদ সংলগ্ন ময়দানে রমজানের শেষে ইফতার মজলিসে সম্প্রীতির সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধানশিমলা ব্রম্মাময়ী সেবা মন্দিরের মহারাজ মানস সরকার, বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সোনামুখী পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখার্জি, সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুশল ব্যানার্জি,বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্য দেবাশীষ ঘোষ, সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বিল্লোমঙ্গল ব্যানার্জি,ধান শিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অনুপ প্রামানিক প্রমুখ। ছিলেন বাঁকুড়া জেলা ইমাম মুয়াজ্জিন উলামা সংগঠনের সম্পাদক ও ময়রাপুকুর মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক কারী মহিবুল্লাহ সাহেব, ধানশিমলা সিরাজপল্লী জামা মসজিদের ইমাম হাফিজ আশরাফ সাহেব, বিশিষ্ট সমাজসেবী শম্ভু কর্মকার, স্বরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ কর্মকার, ধানসিমিলা বিদ্যাভবন হাই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি সাধন গোপাল দত্ত সহ এলাকাস্থিত বেশ কিছু রোজাদার এবং স্থানীয় জনসাধারণ। সঞ্চালক ছিলেন শিক্ষক শেখ জামিলুর রহমান।
উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ সম্প্রীতির বার্তা তুলে ধরেন এবং ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য যে, তার পরের দিনই ঈদের নামাজ শেষে হাফিজ আশরাফ সাহেব স্থানীয় এক শ্মশানের মা ব্রহ্মাময়ী সেবা মন্দিরের পুরোহিত মহাশয়ের হাতে মিষ্টির প্যাকেট হাতে তুলে দেন ও একে অপরের মুখে মিষ্টি তুলে দেন। ইমাম সাহেব জানান যে,-“ঈদ এর খুশি আনন্দ সবার মাঝে ফুটে উঠুক। ধর্ম এর বিধানে কোন ভেদাভেদ নাই, “আল্লাহ-র প্রতি বিশ্বাস স্থাপন এর পর মানুষকে ভালোবাসাই শ্রেষ্ঠতম জ্ঞানের পরিচয়।” এ বার্তা বিশ্ব নবীর পবিত্র বাণীর মর্মার্থ।”
ঐ দিন সাথে ছিলেন সমাজ সেবী নয়ন মিদ্যা,শফিকুল সেখ এবং ধানশিমলা জি পি-র উপ প্রধান অনুপ প্রামানিক। এলাকার মানুষ এই বিষয়ে যৎপরনাই খুশি।