|
---|
সফিকুল ইসলাম : ১৭জুলাই, প্রকাশিত হল উচ্চ মাধ্যমিক ২০২০র ফলাফল। ৪৯৮ পেয়ে রাজ্যের মধ্যে সম্ভাব্য দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে, হুগলি জেলার মুক্তার পুর হাই স্কুলের ছাত্র মোহাম্মদ তালহা এবং তার বাড়ি বর্ধমানের সরাই টি করে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা এবং গল্পের বই পড়তে পছন্দ করে। পরীক্ষা ভালই হয়েছিল বলে জানায়, তবে রেজাল্ট এতটা ভালো হবে বলে আশা করতে পারেনি। যার ফলে স্বভাবতই উচ্ছ্বাসিত বাবা-মা সহ পরিবারের লোকজন। বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চাই। নিউরো সার্জেন্ট হওয়ার ইচ্ছা। দিনে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পড়াশোনা করত। তার এই সাফল্যের পেছনে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও বাবা-মার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে ছাত্র মোহাম্মদ তালহা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী তালহা বাংলার বিখ্যাত আলেম মুফতি খলিলের পুত্র। ছোট ভাই কোরআনে হাফেজ, আব্বা ডানকুনি জঙ্গলপুর স্কুলের আরবি শিক্ষক, মা গৃহবধূ। দাদু মৌলানা আসাদ সাহেব বর্ধমানের তাবলীগ জামাতের আমির ছিলেন। প্রশ্নের উত্তরে তালহা জানায় তার আদর্শ নবী মোহাম্মদ এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তাকে নিয়মনু বর্তীতা শিখিয়ে। মাধ্যমিকে বর্ধমান মিউনিসিপাল হাই স্কুল থেকে ৯২শতাংশ নাম্বার পেয়ে উত্তীর্ন হয়। তারপর খলত পুর আল আমিন মিশনে ভর্তি হয়। মিশনের সম্পাদক নুরুল সাহেব সহ আবাসিক শিক্ষক দের অবদান ভোলার নয় বলে জানায়। বিরায়ানী খুবই পছন্দ করে এবং সাদা কালো পোশাক তার পছন্দ। আব্বা মুফতি খলিল আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন, বলেন পুত্র ঈমানের সঙ্গে আরো বড় মানুষ হোক এবং ডাক্তার হয়ে মানুষের কাজে নিয়জিত হক। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ এর বার্সিলি গ্রামের বাড়ি সেখানে আত্মীয় স্বজনরা তার সাফল্যে উচ্ছাসিত। মুফতি খলিল সাহেব মালদহ সুজাপুরে বহুদিন ইমামতি করেছেন। সেখানেই জন্ম গ্রহণ করে তালহা। সুজাপুরে ওই এলাকার মানুষ খুব খুশি তাঁদের প্ৰিয় ইমামের পুত্রের সাফল্যে।