মনে কি পড়ে প্রিয়: ২০১৮ রামনবমী, হিন্দু জল্লাদ বাহিনীর সেই হত্যালীলা

বিশেষ প্রতিবেদন, নতুন গতি:ইমামের পুত্র উগ্র হিন্দু জল্লাদ বাহিনীর হাতে নৃশংস ভাবে খুন হয়ে গেছে গত রামনবমীতে। আসানসোলের চারপাশে হিংসার আগুন জ্বলতে পারত, কিন্ত হতে দেননি প্রকৃত ধার্মিক ঈমাম সাহেব। বিজেপি খুনোখুনির মধ্যে দাঙ্গা চেয়েছিল। হতে দেননি বুদ্ধিমান ও বিবেকবান ঈমাম। এই ঈমাম শয়তান হাফিজ সাঈদ কিম্বা লাদেনের ভন্ড ইসলামের দর্শনে বিশ্বাস রাখেনা। বিশ্বাস রাখে ভারতের বৈচিত্রে, মানবতায়। তাই তার শিশুপুত্র হায়নাদের হাতে খুন হয়ে গেলেও বিশ্বাস রেখেছিল ভারতের সংবিধানে, অটুট আস্থা রেখেছেন খাঁটি দেশপ্রেমে। তাই লাশের সংখ্যা না বাড়িয়ে শীতল পানি ঢেলে ঠান্ডা করে দিয়েছিল বিজেপির অসৎ উদ্দেশ্য।
একই ভাবে তৃণমূলের আয়োজনে রামনবমীতে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বে হয়েছে খুন, লুঠ ও অজস্র কিছু!!
আসানসোলে মমতা ব্যানার্জির পুলিশের হাতও উড়ে গেল!!

    বিজেপি রুখতে দিদিমনিও আঁকড়ে ধরলেন বিজেপির উগ্র হিন্দুত্বকে!! বাংলার অলি গলি, মাঠ ঘাটে আয়োজিত হচ্ছে রামনবমী-গনেশ-ছট পূজার মত উত্তর ভারতের হিন্দু সংস্কৃতি!!

    বাংলায় পাল্লা দিয়ে বেড়ে গেল আরএসএস এর সংগঠন ও সরস্বতী ইস্কুল!! দিদি সবই জানেন এবং পুরোদস্তুর ওয়াকিবহাল।
    আরএসএস যত বৃদ্ধি পাবে, অসহায় মুসলমান মন না চাইলেও তৃণমূলকে আঁকড়ে ধরতে বাধ্য। এটাই তৃণমূলের ভোটের লজিক।

    একটু বুদ্ধির ঢাকনাটা খুলুন, বুঝতে পারবেন কি সুক্ষ ও সুচতুর কৌশলে বামেদের দমন করে রবি-নজরুলের বাংলায় আরএসএসকে রাজনৈতিক জমি বাড়াতে দিদিমনি মদত দিয়েছে এবং এখনো দিচ্ছে!!

    এই নির্বাচনে বামেরা একটাও লোকসভা আসন না পাক এটা তৃণমূল আন্তরিক ভাবে চায়। প্রথম দফার ভোটে 95% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকাটা তৃণমূল ও বিজেপির গোপন বোঝাপড়ার একটি অঙ্গ!!

    দিদিমনি চান, বিজেপি জেতে জিতুক কিন্ত বামেরা নয়!! এই সহজ সরল সত্যটা তৃণমূলের অন্ধ বোকা মুসলিম সমর্থকরা বুঝতে চায়না!! ব্যক্তিগত আর্থিক সুবিধা লুঠতে মশগুল!!

    একটু যাদের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা আছে তারা একটু ভাবুন।
    তৃণমূল এখন ক্ষয়িষ্ণু শক্তি, বাংলায় মেরে কেটে এবং ভোট লুঠে 37% ভোটেরর বেশি উঠবেনা।
    এর পর জনসমর্থন আরো নিম্নগামী হবে এবং আস্তে আস্তে দলের বিভিন্ন নেতা নেত্রীরা সুযোগ মত কেউ কংগ্রেস নতুবা বিজেপিতে ভিড়বে।

    বাংলায় আগামীদিনে রাজনৈতিক লড়াই বাম v/s রাম।
    এটাই অপ্রিয় সত্য।।

    ব্যক্তিগত ভাবে মোঃ সেলিম ও বিকাশ ভট্টাচার্য জিততে না পারলে ওদের কিছু যায় আসেনা , যায় আসে সাধারণ মানুষের।
    কল্পনা করুন কোন ভাবে বিজেপি আবার পার্লামেন্টে ক্ষমতায় এলো এবং বিজেপির স্বভাব মত দেশে কিম্বা রাজ্যে দাঙ্গার আগুন লাগল। পার্লামেন্টে মিমি, নুসরত, মুনমুন সহ তৃণমূলের অধিকাংশ এমপি পার্লামেন্টে কিছু ছিড়তে পারবেকি??

    কারন অতীত অভিজ্ঞতা বলছে এরাতো নির্বাক দর্শক, যোগ্যতা নেই সেলিম সাহেবের মত বিজেপির বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে প্রশ্ন তুলে নাস্তা নাবুদ করতে।

    ভাবুন তো সেলিম-বিকাশের মত দুজন এমপি যদি পার্লামেন্টে নির্বাচিত হয়ে যায়, এরা দুজনেই 200 এমপির ভূমিকা নেবে।
    সুতরাং বর্তমান লোকসভার লড়াইটা তৃণমূল v/s সিপিআইএম না ভেবে, ভাবুন ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক v/s সম্প্রীতির।

    এই বোধে একজন মানুষ যদি ভোট দেন তার সমর্থন সেলিম-বিকাশের দিকেই থাকবে। বাংলা তথা দেশ বাঁচাতে এছাড়া কোন বিকল্প নেই।

    তাই বিবেকবান ও ধর্মনিরেপেক্ষ মানুষের কাছে আবেদন, লোকসভা ভোটে বাম প্রার্থীদের জেতান, এদের জয় দেশ ও দশের জন্য জরুরি।

    মিরাজ আজাদ
    04/04/2019