৫ দিনের তথ্য অনুযায়ী ১৭০০ জনের করোনা শনাক্ত কুম্ভমেলায়

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : ভারতের হরিদ্বারে আয়োজিত কুম্ভমেলায় ৫ দিনে ১৭০০ জনের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। হরিদ্বারের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শম্ভু কুমার কাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। ভারতজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে পুণ্যার্থীদের জমায়েত কুম্ভমেলায় লাখো মানুষ সমবেত হয়।

    বৃহস্পতিবার এনডিটিভিকে শম্ভু কুমার ঝাঁ জানান, কুম্ভমেলায় অংশ নেওয়া ভক্ত ও দর্শনার্থীদের একাধিক আখড়ায় আরটি-পিসিআর ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার ব্যবস্থা ছিল। ১০ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭০১ জনের। আরও অনেকের ফলাফল হাতে আসা এখনো বাকি। এ কারণে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    হিমালয়ের কোল ঘেঁষে উত্তরাখন্ডের হরিদ্বারে বসে কুম্ভমেলার আসর। প্রতি ১২ বছরে একবার গঙ্গা নদীর পাড়ে মহা কুম্ভমেলা আয়োজন করা হয়। প্রতিবারই দেশ-বিদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ গঙ্গাস্নান করতে কুম্ভমেলায় সমবেত হন। এবার হরিদ্বার, তেহরি, দেরাদুন জেলার ৬৭০ হেক্টরের বেশি এলাকাজুড়ে মেলা চলছে।

    ১২ ও ১৪ এপ্রিল কুম্ভমেলায় অনুষ্ঠিত গঙ্গাস্নানে ৪৮ লাখ ৫১ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এ সময় করোনা ঠেকানোর স্বাস্থ্যবিধি সেভাবে মানা হয়নি। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই মেলা চলবে বলে জানিয়েছে মেলা কর্তৃপক্ষ।

    এমন এক সময় এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হলো, যখন ভারত করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এক দিনে সংক্রমণের এ সংখ্যা দেশটিতে সর্বোচ্চ। ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ১ হাজার ৩৮ জন করোনায় মারা গেছেন। দেশটিতে মোট মৃত মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজার ১২৩।

    করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বজুড়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভারত। প্রথম অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের পেছনে আছে ব্রাজিল। ২ এপ্রিল থেকে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হচ্ছে ভারতের মানুষের। গতকাল টানা পাঁচ দিনের মতো দেড় লাখের বেশি আক্রান্ত দেখেছে ভারতবাসী। এ ছাড়া টানা ৯ দিনের মতো গতকাল আক্রান্ত ছিল এক লাখের বেশি। সংক্রমণ রোধে দেশটির বেশ কিছু রাজ্যে কঠোর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।