কলকাতায় মিলল ‘তিমি’র দেখা আর সেটিকে পিছনে রেখে নানা অঙ্গভঙ্গী করে সেলফি তোলার হিড়িক পড়ল

নিজস্ব সংবাদদাতা : কলকাতায় (Kolkata) মিলল ‘তিমি’র দেখা। আর সেটিকে পিছনে রেখে নানা অঙ্গভঙ্গী করে সেলফি তোলার হিড়িক পড়ল। না, মাছ নয়। শনিবার রাতে ঝড়-বৃষ্টির পর কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রায় ছ’তলার সমান উচ্চতার বিশালাকার বিমান। যার মুখটা তিমির মতো দেখতে। সাধারণ বিমানের তুলনায় চারগুণ বড় কেবিনে দু’টি হেলিকপ্টার নিয়ে আসে বিমানটি (Airbus)। রবিবার উড়ে যায় থাইল্যান্ডের পাটায়ার উদ্দেশে। সেটিকে কেন্দ্র করেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, বিমান সংস্থার, বিমান পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিক, কর্মী, যাত্রী -সকলের মধ্যেই দেখা গিয়েছে উচ্ছ্বাস। বিমানটি প্রথমবার কলকাতায় এসেছিল ১৯৯৯ সালে। ২৩ বছর পর দ্বিতীয়বার শহরে দেখা মিলল বিমান ‘তিমি’র।বিমান তৈরির যন্ত্রাদি বা বিশাল মাপের কার্গো বহনের জন্য তৈরি এয়ারবাস এ০০ বি৪-৬০৮ এসটি সুপার ট্রান্সপোর্টার বিমানটি স্টান্ডার্ড এয়ারবাস এ৩০০-৬০০ ওয়াইড-বডি বিমানের পরিবর্তিত রূপ। বেলুগা তিমির মতো দেখতে হওয়ায় ‘বেলুগা’ নামেই পরিচিত বিমানটি শনিবার রাত ৮টা ৫২ মিনিটে কলকাতায় অবতরণ করে। তারপর থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য বিমানবন্দরের ১৬ নম্বর পার্কিং বে ছিল সেটির ঠিকানা। বিশ্বজুড়ে থাকা মাত্র পাঁচটির মধ্যে একটি ‘বেলুগা’বিমান গত ১৮ মে ফ্রান্সের টুলুজে এয়ারবাস সদর দপ্তর থেকে উড়েছিল। মার্সেলস, এথেন্স, কায়রো, আবু ধাবি এবং আমেদাবাদে থামে বিমানটি। শনিবার আমেদাবাদ থেকে পৌঁছয় কলকাতায়। রবিবার উড়ে যায় পরবর্তী গন্তব্য, থাইল্যান্ডের পাটায়া অভিমুখে।কলকাতা বিমানবন্দরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শনিবার রাত থেকেই বিমানবন্দরের প্রধান আকর্ষণের বস্তু হয়ে উঠেছিল এই বিমান ‘তিমি’টি। বিমানটিকে পিছনে রেখে সেলফি তোলার হিড়িকে মেতেছিলেন বিমানবন্দরের কর্মীরা। আধিকারিক বলেন, “তিমি বা ডলফিনের মতো বিমানের মুখটা দেখলেই মুখে হাসি চলে আসছে।” বেলুগা বিমানটির উচ্চতা প্রায় ছ’তলা বিল্ডিংয়ের সমান। ডানাগুলি প্রায় ৪৫ মিটার প্রশস্ত। অভ্যন্তরীণ কার্গো হোল্ডটি ১২৪ ফুট লম্বা, ২৩ ফুট চওড়া এবং উচ্চতা ২৩ ফুট।বিমানবন্দরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কলকাতায় এল বিমানটি। ১৯৯৯ সালে ইউজিন ডেলাকোঁয়া আঁকা ‘লিবার্টি লিডিং দ্য পিপল’ নামের বিশাল অঙ্কনচিত্রটি নিয়ে কলকাতায় এসেছিল বিমানটি। চিত্রটি ১৮৭৪ সাল থেকে প্যারিসের লুভরে-তে প্রদর্শিত ছিল। তার আকার এতটাই বড় ছিল যে বোয়িং বি৭৪৭ বিমানে সেটির জায়গা হচ্ছিল না। তখন সেটিকে ‘বেলুগা’-তে বিশেষ ব্যবস্থা করে প্যারিস থেকে তেহরান ও কলকাতা হয়ে টোকিও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।কলকাতা বিমানবন্দরের তরফে শনিবার টুইট করা হয় বেলুগা এয়ারবাস বিমানের ছবি দিয়ে। টুইটে লেখা বার্তা পড়লেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের উচ্ছ্বাস নজরে আসে। উচ্ছ্বসিত বিমানযাত্রীরাও ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।