মোথাবাড়িতে ব্লক ও পুলিশ প্রশাসন যৌথ ভাবে আবার নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করলো বিডিও অনির্বাণ সেনগুপ্ত

মোথাবাড়িতে ব্লক ও পুলিশ প্রশাসন যৌথ ভাবে আবার নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করলো বিডিও অনির্বাণ সেনগুপ্ত

    নতুন গতি, মোথাবাড়ি: আবার কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকে এক নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করলো বিডিও। বিডিও উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ব্লক ও পুলিশ প্রশাসন যৌথ ভাবে এই বাল্যবিবাহ রুখে দেয় । কালিয়াচক ২  নম্বর ব্লকের উত্তর লক্ষী পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাহালা গ্রামের ঘটনা। পাত্রীর বাবা বেশ কয়েক বছর আগে মারা যায়। ১৬ বছর বয়স্ক পাত্রী বর্তমানে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় দশম শ্রেণীর ছাত্রী। লকডাউনে গত এক বছর ধরে কার্যত পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় এ ছাত্রীর । পাত্রীর দুস্থ মা একই গ্রামে

    প্রতিবেশী এক পাত্রের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে ফেলে । বৃহস্পতি বারে ছিল সেই বিয়ে। বিয়ের সব আয়োজন প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গেছিল। কিন্তু  গোপন সূত্রে বিডিওর কাছে একটি ফোন আসে । এ পরে তৎক্ষণাৎ বিডিও অনির্বাণ সেনগুপ্তের নির্দেশে জয়েন্ট বিডিও দেবব্রত মন্ডল ও ব্লকের ইঞ্জিনিয়ার মহসিন খানের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে কাহালা গ্রামে উপস্থিত হয়। গ্রামের পাত্র-পাত্রী উভয় পক্ষের অভিভাবক দের কাছে একটি মুচলেকার লিখে নেওয়া হয় । এবং বিয়েটি রদ করা হয়।

    বিডিও  অনির্বাণ সেনগুপ্ত জানান “এই ধরনের একটি অভিযোগ আমার কাছে এলে আমি সঙ্গে সঙ্গে আমার জয়েন বিডিও নেতৃত্বে মোথাবাড়ি থানার পুলিশকে নিয়ে কাহালা গ্রামে একটি প্রতিনিধি দলকে পাঠায়। জয়েন বিডিও পুলিশের এই টিম পাত্র-পাত্রী উভয় পক্ষের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের কাছে লিখিত মুচলেকা নিয়ে এই বিয়ের বন্ধ করা গেছে।”

    মোথাবাড়ি থানার পুলিশ জানিয়েছে “গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমরা মেয়ে এবং ছেলের বাড়িতে গিয়ে পাত্র-পাত্রীর বাবাদের বুঝিয়ে এই বিয়েটি বন্ধ করতে পেরেছি। ”
    নাবালিকা পাত্র-পাত্রী অভিভাবকরা জানান  “আমরা  বিষয়টি জানতাম না। আমাদের মেয়ের বর্তমান বয়স 16 বছর। 18 বছর  না হলে আর বিয়ে দেবো না । এখন মেয়েকে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে বলেছি।”