আবদার মেটাতে রাজেশ চটজলদি বানিয়ে ফেলছেন বিভিন্ন চাট ফুচকা মিশালি

নিজস্ব প্রতিবেদক:- নানা ধরনের মশলা দিয়ে মাখা আলুসেদ্ধ, আর তার সঙ্গে তেঁতুলের জল। টকের সঙ্গে একটু ঝাল হলে তো কোনও কথাই নেই। আজ্ঞে হ্যাঁ, ফুচকারই কথা হচ্ছে! টক, ঝাল, মিষ্টি স্বাদে ফুলকো, যা মুখে এলেই মেলে এক অনন্য অভিজ্ঞতা। আর গরমকাল পড়তে না পড়তেই ফুচকার দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই ভিড় পড়ুয়াদের। এই ভিড় আট থেকে আশি সকলের। এদিকে সকলের আবদার মেটাতে ‘রাজেশ’ চটজলদি বানিয়ে ফেলছেন বিভিন্ন চাট, ফুচকা, মিশালি। তবে বছর ২১’শের রাজেশের ‘স্পেশালিটি’ ২০ টাকায় ৬ বাহারি স্বাদের ফুচকা! যা এখন মন কেড়েছে শহর শিলিগুড়ির।সূর্যনগর মাঠ হোক কিংবা শিলিগুড়ির বিখ্যাত আড্ডাস্থল বাঘাযতীন পার্ক। সব জায়গাতেই দেখা মিলছে ফুচকার ঠেলা। সেখানে রাজেশ ওরফে ‘ফুচকা কাকু’-কে ঘিরে যেমন চড়ছে উন্মাদনার পারদ, তেমনই চলছে বিভিন্ন আবদার। ‘আরেকটু ঝাল কাকু!’, ‘মিষ্টি চাটনি দাও’, ‘মিশাল বানিয়ে দাও’, ‘বেশি করে আলু দাও’, এসব যেন রোজকার অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজেশের।বছর ২১’শের রাজেশের বাড়ি শিলিগুড়ি শহরেরই টিকিয়াপাড়ায়। তাঁর বাবাও এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাবা অবশ্য শিলিগুড়ির এসএফ রোডে (SF Road) এই ছয় ফ্লেভারের ফুচকা নিয়ে বসেন। বাহারি স্বাদের এই ফুচকা খেতে কে না আসে। সে সূর্যনগর ফ্রেন্ড ইউনিয়নের মাঠের খেলোয়াড়ই হোক কিংবা ছেলেকে আঁকার স্কুলে ছাড়তে আসা মায়ের দল, সবার ভিড় থাকবেই এই ফুচকার দোকানে (Six flavoured fuchka)।স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ বা এমন যাঁরা পরিষ্কার খাবার ছাড়া খান না, তাঁরাও পছন্দ করবেন এই দোকানকে। জলের মধ্যে হাত না চুবিয়েই এক হাতা দিয়েই রাজেশ এই জল ভরেন ফুচকায়। পুদিনা, আম, হজমা হজম, হিং, রসুনের মতো রকমারি স্বাদের জলভরা এই ফুচকা খেতে খুব একটা দূর যে যেতে হবে তা নয়। সূর্যনগর ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাব থেকে শুরু করে বাঘাযতীন পার্ক, সব জায়গায় মোটামোটি বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া যাবে এই সুস্বাদু ফুচকা।উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সায়নিকা বোস থাকেন হাকিমপাড়ায়। মাঝে মাঝে আড্ডার ফাঁকে চলে ফুচকা খাওয়াও। তাঁকে জিজ্ঞেস করতেই বলে, ‘মলে বা অন্য বড় জায়গায় গেলে তো এই ফুচকারই দাম ১০০ ছুঁইছুঁই। এখানে ২০ টাকায় ৬ রকমের ফুচকা মিলছে। এই ব্যাপারটাই দারুণ।’ আরেক ছাত্রী শর্মি ধর বলেন, ‘ফুচকা খেতে তো সকলেরই ভালো লাগে। এ আবার ছয় ধরণের ফুচকা। সুপারহিট! রকমারি জলের ফুচকা শুধু নয়, মিশালি ও দই ফুচকাও যথেষ্ট পপুলার এখানকার।’