স্ট্র্যান্ড রোডের ঘটনায়, মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ সঙ্গে সরকারি চাকরি। ঘোষণা মমতার

স্ট্র্যান্ড রোডের ঘটনায়, মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ সঙ্গে সরকারি চাকরি। ঘোষণা মমতার

     

     

     

     

     

    নতুন গতি নিউজ ডেস্ক : স্ট্র্যান্ড রোডে পূর্ব রেল দপ্তরের অফিসে বিধ্বংসী আগুন লাগে সোমবার সন্ধ্যায়। মোকাবিলা করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে পুলিশ কর্মী, দমকল কর্মী ও রেল কর্মীর। তাঁদের মধ্যে ৫ জন দমকলকর্মী। একজন রেলের আরপিএফ। একজন হেয়ার স্ট্রিট থানার এএসআই। আশঙ্কা, মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে আরও দুজনের।

     

    ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন এটা রেলের ভবন। খুব পুরনো ভবন। আগুন নেভাতে গিয়ে ৭ জন মারা গিয়েছেন। ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীদের থেকে শুনেছি, লিফট দিয়ে উঠতে গিয়েছিলেন। বিদ্যুতের ঝলকের মতো আগুনের লেলিহান শিখা শরীর ঝলসে দিয়েছে। ৭ জন মারা গিয়েছেন। যতক্ষণ না সনাক্তকরণ হচ্ছে, ততক্ষণ সব নাম বলা যাচ্ছে না।’

     

    মৃতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। মমতা বলেছেন, ‘মৃত্যুর বিকল্প হয় না। তবে পরিবারগুলোকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেব। ওরা এখনও কোনও খবর পায়নি।‘ পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের একজন করে সদস্যকে সরকারি চাকরি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। রেলের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেছেন, ‘রেলের জায়গা, রেলের সবটাই। তাদের ওপরও দায়িত্ব বর্তায়। ওরা কেউ আসেনি। দমকল থেকে ম্যাপ চাওয়া হয়েছিল। এত বড় বিল্ডিংয়ে কোথায় কী রয়েছে জানা সহজ হতো। সেই সহযোগিতাও করেনি বলে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু আমাকে জানিয়েছে। মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি চাই না। ফায়ার ব্রিগেডের কর্মী, আধিকারিক থেকে শুরু করে পুরমন্ত্রী, দমকলমন্ত্রী, সকলে আছেন। আগুন নিয়ন্ত্রিত, তবে প্রাণগুলো চলে গিয়েছে।‘

     

     

    সোমবার সন্ধে ৬টা নাগাদ আগুন লাগে বহুতলের ১৩ তলায়। ক্রমশ তা ছড়িয়ে পড়ে ১২ তলায় রেকর্ড রুমে। ঘটনাস্থলে দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন। দীর্ঘক্ষণ বন্ধ হয়ে যায় বাবুঘাট থেকে হাওড়া পর্যন্ত যান চলাচল। সার্ভার রুমে আগুন, পূর্ব ভারতে বিস্তীর্ণ শাখায় অনলাইন বুকিং বন্ধ। বিপর্যস্ত র্পূর্ব রেল, দঃ পূর্ব রেল, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের অনলাইন পরিষেবা।