|
---|
বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : কুলতলির গোপালগঞ্জ অঞ্চলের কৈখালী কাছারি বাজারের বাসিন্দার লখাই নস্কর গত সোমবার সুন্দরবনের বিট অফিস থেকে বৈধ কাগজ নিয়ে,দুই সঙ্গী কে সাথে নিয়ে সুন্দরবনের বেনিফিলি জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে যায়। লক্ষন সরদার ও সুজির নস্কর লখাই নস্করের সাথে ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে আনুমানিক সাতটায় নদীতে দোন ফেলে, নৌকায় নিজেদের কাজকর্মে ব্যস্ত ছিল। এমত অবস্থায় বাঘ মামা নৌকার উপরে থাকা তিন জনের এক জন লখাই নস্করে উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সাথে সাথে সুজিত ও লক্ষণ নৌকার উপর থেকে বাঘ মামার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে বাঘে মানুষে মধ্যে খন্ড যুদ্ধ চালায়। অবশেষে রনে ভঙ্গ দিয়ে বাঘ মামা বনের উদ্দেশে রওনা দেয়। বাঘ বনের দিকে যেতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে নৌকা নিয়ে বাড়ির দিকে আসতে শুরু করে। পথে খবর দেয়া হয় জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে ও কুলতলি বিট অফিসে। জয়নগর গ্রামীন হাসপাতালের ডাক্তার বাবুরা খবর শোনা মাত্র জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে থাকা অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে দেন তারা। নৌকা নিয়ে কৈখালী খেয়া ঘাটে চলে এলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় লখাই নস্করের দেহ টি কে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রে এলে ডাক্তার বাবু প্রাথমিক চিকিৎসার পর রুগির অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। পিজির পথে রওয়ানা দেওয়ার পথে মারা যায় লখাই নস্কর। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় প্রতিনিয়ত এই সমস্ত ব্যক্তিরা সুন্দরবনের মাছ কাঁকড়া ও মধু সংগ্রহ করতে যান। আর বারেবারে তাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ছে বাঘ। পরিসংখ্যানে জানা গেছে ২০২১ এ ২৯ জন বাঘের আক্রমণে আহত ও নিহত হয়েছেন। গতবছরের থেকে এবছরের বাঘের আক্রমণে আহত নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে এই সমস্ত পরিবার দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী। এদের দিকে প্রশাসনের নজর মিলছে না। মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর সহ গণসংগঠন গুলি সর্বদা এই সমস্ত আক্রান্ত পরিবারের পাশে সহযোগিতা করলেও সরকারের উদাসীনতার জন্য সথা সময়ে ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না,ফল সরূপ পরিবারগুলি করুণ অবস্থায় দিন যাপন করছে।