|
---|
মহ:নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, ২৯ সেপ্টেম্বর: বাঙালিদের সব থেকে বড়ো পূজা দূর্গাপুজা।এই উৎসবে শিশু থেকে বড়োরা সকলেই খুশির আমেজে মেতে ওঠে। এবার হয়তো সেই আমেজ উপভোগ করতে পারবে না বাঙালিররা। একদিকে এন.আর.সি’র আতঙ্ক অপর দিকে মুশলধারে বৃষ্টি।
গত কয়েকদিন ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষনে দূর্গাপুজোর মরশুমে
হরিশ্চন্দ্রপুর,চাঁচল,কুশিদা,সামসী,ভালুকা সহ সমগ্র মালদা জেলার বাজার একেবারে শুনশান। রতুয়ায় বন্যার জেরে লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে পরেছে। বন্যার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র মালদা জেলা জুড়ে।ছেলে ধরার ভয়ে শিশুরাও গৃহবন্দি।
পুজোর আর কটা দিন বাকি। বস্ত্র বিক্রেতাদের মাথায় হাত।কেননা তারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে অনেকে আবার স্থানীয়ভাবে মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ করে কাপড়-চোপড় দোকানে মজুদ করেছেন। কিন্তু দিনের এই অবস্থা দেখে গভীর চিন্তায় রয়েছেন সমস্ত বস্ত্র ব্যবসায়িকরা। কবে দিনের অবস্থা ভালো হবে বুকে এই আশা বেঁধে রয়েছেন তারা। মাত্র বাকি আর কটা দিন।যতটা পারা যায় বিক্রি পাটা করে নিজেদের ঋণ মুক্ত হতে চেয়েছেন তারা। হরিশ্চন্দ্রপুরের বস্ত্র ব্যবসায়ী মোঃ রুহুল আমিন,সামসুল হক,রবি আজম, রঞ্জু ও আসগর আলীরা জানান এ বছর দেশের মন্দা অর্থনৈতিক প্রভাব পড়ে এমনিতেই গোটা বছর ধরেই কেনাকাটায় আগের তুলনায় অনেকটা হ্রাস পেয়েছে।তারপর ঠিক পুজোর বাজার যখন জমে উঠবে সেই মুহূর্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের নাজেহাল অবস্থায় রয়েছে।তবে দেখা যাক দিনের অবস্থা ভালো হলে আশা করছি অনেকটা কেনাকাটায় বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যবসায়িকরা একটু হলেও চিন্তা মুক্ত হবেন। শুধু কাপড়ের ব্যবসা নয় হরিশ্চন্দ্রপুর জুতা, সাজসজ্জা( কসমেটিক)এমনকি তুলনামূলকভাবে মুদিখানার দোকান দারদেরও প্রশ্ন আগের তুলনায় বর্তমানে সেল অনেক কমে গেছে।
পশ্চিমবঙ্গ আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে ধারাবাহিক ভাবে পাঁচদিন বৃষ্টি হবে। দু’দিন কেটেছে আরও বাকি তিনদিন।