রাজ্য বিজেপির অন্দরমহলে তথাগত রায়ের ‘কামিনী কাঞ্চন’ তত্ত্ব নিয়ে ফের সরব হয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:- নিষিদ্ধ মাদক কোকেন ব্যবসায় যুক্ত থাকার অভিযোগে জেল থেকে জামিনে ছাড়া পাওয়া পামেলা গোস্বামী পৌঁছে গেল বিজেপি তথা এনডিএ’র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) কাছে। অভিযোগ, রাজ্য বিজেপির শীর্ষনেতাদের হাত ধরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পাশাপাশি পামেলাও রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে। গোটা ঘটনায় গেরুয়া শিবিরেই তীব্র ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটেছে। রাজ্য বিজেপির অন্দরমহলে তথাগত রায়ের ‘কামিনী কাঞ্চন’ তত্ত্ব নিয়ে ফের সরব হয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ।উল্লেখ্য, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ নিষিদ্ধ মাদক কোকেন-সহ নিউ আলিপুরে পুলিশ হাতেনাতে গ্রেফতার করে বিজেপি নেত্রী পামেলাকে (Pamela Goswami)। তাঁর গাড়ি থেকে ১০০ গ্রাম কোকেন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মাদকের বাজারমূল্য ছিল লক্ষাধিক টাকা। দ্রৌপদীর কলকাতা সফরে তার পাশেই দেখা গিয়েছে মাদক কাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়ে সদ্য জামিনে মুক্তি পাওয়া বিজেপির বিতর্কিত চরিত্র পামেলা গোস্বামীকে। শুধু তাই নয়, তার সঙ্গে মুর্মুর পাশে এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকেও।সূত্রের খবর, মাদককাণ্ডে জামিন পাওয়া পামেলা দলের এক শীর্ষনেতার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় বিজেপির যুব মোর্চার সাংস্কৃতিক সেলের ইনচার্জ পদ পেয়েছে। অথচ তৎকাল বিজেপি নেতাদের দাপটে বিজেপির একনিষ্ঠ আদি কর্মীরা প্রতিনিয়ত বঞ্চনার শিকার হয়ে ঘরে বসে গিয়েছে। পুরানো কর্মীদের অভিযোগ, বিজেপিতে এই তথাকথিত ‘কামিনী কাঞ্চন’ যোগই দলটাকে দ্রুত শূন্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বুধবার দ্রৌপদীর সফর নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করা হয়েছে। দলের মহাসচিব তথা শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “এই প্রথম কোনও রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী এসে শুধু নিজেদের দলের কাছে ভোট চাইলেন, অন্য কারও কাছে আবেদন করেননি। তাই তাঁকে ভোট দেওয়ার প্রশ্ন নেই।” রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Biman Banerjee) এনডিএ প্রার্থীর এমন আচরণ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন, “আমি অফিসে ছিলাম, কেউ ভোটের আবেদন করেনি। এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল।” স্বভাবতই দ্রৌপদী মুর্মুর এবারের কলকাতা সফর একদিকে যেমন রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট, অন্যদিকে মাদক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তর সঙ্গে ছবি থাকায় এনডিএ প্রার্থীর সূচি আর নিষ্কলঙ্ক রইল না বলে এদিন বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ স্বীকার করেছেন।