তৃণমূল নেতা শেখ শাজাহানের নেতৃত্বে সন্দেশখালিতে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা, নিহত ৪

নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ ২৪পরগণা: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত। পতাকা খোলাকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সন্দেশখালি। কায়ুম মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বিজেপি পাল্টা দাবি করছে, তাদের ৩ জন বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। আরও ২ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা।

    সন্দেশখালিতে হাটগাছিতে লোকসভা ভোটে লিড পেয়েছিল বিজেপি। গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকাটি উত্তপ্ত ছিল। অভিযোগ, এদিন বিজেপির পতাকা খুলতে যায় তৃণমূলের লোকজন। বাধা দেন বিজেপি কর্মীরা। দুপক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ করেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল কর্মী কায়ুম মোল্লার। বিজেপির তরফেও দাবি করা হয়েছে, তাদের কর্মী তপন মণ্ডল, সুকান্ত মণ্ডল ও প্রদীপ মণ্ডলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও দুজন নিখোঁজ।

    বিজেপির অভিযোগ, দুপুর তিনটে নাগাদ সন্দেশখালির হাটগাছিতে দলবল নিয়ে ঢোকে তৃণমূল নেতা শাহাজাহান শেখ। ওই এলাকায় লিড পেয়েছিল বিজেপি। সেই কারণে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় তারা। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, তাদের কর্মী কায়ুম মোল্লাকে খুন করেছে বিজেপি।

    উত্তর ২৪ পরগনার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেছেন, কর্মিসভা চলছিল। নিরস্ত্র ছিলেন তাঁদের কর্মীরা। ২৬ বছরের কায়ুম মোল্লার মাথায় গুলি করেছে বিজেপির হার্মাদবাহিনী। জ্যোতিপ্রিয়র দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি গণেশ ঘোষ। তাঁর দাবি, তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহানের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। ওই বুথে লিড পেয়েছিলেন তাঁরা। তিন কর্মীর দেহ পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে গ্রামবাসী।