ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে বিশ্বে অতিমারীর ইতিহাস ও তথ্যপ্রমাণ থেকে স্পষ্ট করোনার তৃতীয় তরঙ্গ অবশ্যম্ভাবী

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকুটির মধ্যেই বেপরোয়া পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ছে হিল স্টেশনগুলিতে। পাহাড়ি এলাকায় সেই ভিড়ের ছবি-ভিডিও ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সতর্ক করে জানিয়েছে, বিশ্বে অতিমারীর ইতিহাস ও তথ্যপ্রমাণ থেকে স্পষ্ট করোনার তৃতীয় তরঙ্গ অবশ্যম্ভাবী। এবং তা আসন্ন।

    চিকিৎসকদের অভিযোগ, দেশের বহু অংশে সরকার ও সাধারণ মানুষ ঢিলেমি দিচ্ছে। কোভিড বিধি না মেনেই ভিড়-জমায়েত করছে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে তাঁরা আক্ষেপ করেছেন। কেন্দ্রও মানুষের এই বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেছেন, “আমরা যখন করোনার তৃতীয় তরঙ্গের কথা বলছি, তখন আমরা এটাকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস হিসাবে দেখছি। এর গুরুত্ব বুঝতে পারছি না। নিজেদের দায়িত্ব পালন করছি না। সবার কাছে অনুরোধ, সচেতন ও দায়িত্বশীল থাকুন।”

    মঙ্গলবার তৃতীয় ঢেউ রোখার আগাম প্রস্তুতিতে উত্তর-পূর্ব ভারতের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করলেন নরেন্দ্র মোদী। টিকাকরণ, জমায়েতে করোনাবিধি বাধ্যতামূলক করার মতো বিষয়ে এদিন আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দিয়েছেন সংক্রমণ প্রতিরোধে একগুচ্ছ দাওয়াই। সেই বৈঠকে তিনি বলেন, ‘পর্যটনস্থলে ভিড় চিন্তার বিষয়। আমাদের তৃতীয় ঢেউ রুখতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

    তিনি জুড়েছেন, ‘বুঝতে পারছি অতিমারীর জেরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন এবং ব্যবসা। কিন্তু মাস্ক ছাড়া হিল স্টেশন এবং বাজারে জমায়েত মোটেও ঠিক নয়। আমাদের করোনার প্রতিটি প্রজাতির দিকে নজর রাখতে হবে। আমাদের বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা সেই কাজ করছেন। কিন্তু এই অতিমারীকালে প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা খুব গুরুত্বপূর্ণ।