ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক দিয়ে অভিনব রাস্তা তৈরীর কাজ শুরু বীরভূমের রাজনগরে

 

     

     

    খান আরশাদ, বীরভূম:

    জেলায় সর্বপ্রথম বর্জ্য প্লাস্টিক প্রয়োগ করে রাস্তা তৈরির কাজের সূচনা হল রাজনগরে।
    আমরা সাধারণত যেসব প্লাষ্টিক ফেলে দিই, সেইসব বর্জ্য প্লাস্টিক দিয়ে রাস্তা তৈরির কাজের সূচনা হলো রাজনগরের চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত ফরিদপুর গ্রামে। প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা প্রকল্পে এই রাস্তাটি তৈরি হচ্ছে। চন্দ্রপুর থেকে গামারকুন্ডু পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার এই রাস্তাটি তৈরি হচ্ছে।
    এ রাস্তাটি তৈরি হলে একদিকে যেমন বর্জ্য প্লাস্টিককে কাজে লাগানো যাবে অপরদিকে সাধারণ রাস্তার তুলনায় এ রাস্তাটি মজবুত হবে।
    ফেলে দেওয়া বর্জ্য প্লাস্টিক সংগ্রহ করে সেই সব প্লাস্টিক কে কুচিকুচি করে কেটে পিচ এবং পাথরের সঙ্গে মিশ্রণ করে রাস্তা তৈরির কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে যা জেলায় প্রথম।
    এই রাস্তা তৈরির জন্য ৫০০ কেজি বর্জ্য প্লাস্টিক প্রয়োজন হবে । এর মধ্যে ২০০ কেজি সংগ্রহ করা হয়েছে । বাকি স্বনির্ভর মহিলা দল এবং বিদ্যালয়গুলির ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হবে।

    এই রাস্তা ভালোভাবে তৈরি হলে এটি একটি জেলায় নিদর্শন হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক সহ অন্যান্যরা।
    এখানে সফলভাবে এই রাস্তার কাজ সম্পন্ন হলে জেলার অন্যান্য বাকি রাস্তাগুলিও এভাবে করার চেষ্টা করা হবে।
    বৃহস্পতিবার চন্দ্রপুর ও গামার কুন্ডু গ্রামের মধ্যবর্তী ফরিদপুরে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই রাস্তা তৈরির কাজের সূচনা করেন বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায়। নারকেল ভেঙে এবং ফিতে কেটে রাস্তা তৈরীর কাজের শুভ সূচনা করা হল।
    রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে জেলার মধ্যে এই প্রথম বর্জ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করা হল। এ ধরনের একটা বড় ঘটনার আমরা সকলে সাক্ষী হয়ে থাকলাম, বললেন অতিরিক্ত জেলাশাসক জেলা পরিষদ কৌশিক সিনহা। রাজনগরের বিডিও শুভাশিস চক্রবর্তী এবং রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষ
    সুকুমার সাধু জানিয়েছেন আমাদের ব্লকের মধ্যে এই ধরনের রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় আমরা গর্ব অনুভব করছি এবং আশা করছি খুব সাফল্যের সঙ্গেই এই রাস্তার কাজ সম্পন্ন হবে। যা  জেলার বুকে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
    এদিনের এই রাস্তা তৈরীর কাজের সূচনার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, অতিরিক্ত জেলাশাসক কৌশিক সিনহা, রাজনগরের বিডিও শুভাশিস চক্রবর্তী, রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত-কর্মাধক্ষ সুকুমার সাধু, রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিবেদিতা সাহা, জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মকর্তারা।