আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস ২৯ শে জুলাই ২০২২

বাবলু হাসান লস্কর, সুন্দরবন : রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের নাম ছাড়া সুন্দরবনকে ভাবাই যায় না। সেই সুন্দরবনের অনিন্দ্যসুন্দর রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সম্পর্কে নূতন প্রজন্মের দৃষ্টি আকর্ষণে এই দিবসের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে বিশেষ উপস্থাপনা। আমাদেরকে আরো বেশি করে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে হবে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক ভারসাম্য যাতে বিনষ্ট না হয়, সে দিকে আমাদেরকে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখা। যেমন, দিনের পর দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বাড়ছে বনাঞ্চল ধ্বংস করার প্রবণতা। কবির ভাষায়, “দাও ফিরে সে অরণ্য, লওহে নগর।” আগেকার দিনে রাজা মহারাজাদের বাঘ শিকারের গল্প আমাদের অনেকেরই জানা। কে কত বেশি বাঘ শিকার করেছেন, সেই হিসেবে তাদের নাম উঠে এসেছে। আর বর্তমান প্রজন্মের কাছে বাঘ একবাক্যে শৌর্য ও সাহসিকতার প্রতীক। এই বন্যপ্রাণীর বংশবৃদ্ধি এবং সুরক্ষিত ও নিরাপদ বাসস্থানের জন্য আজ চিন্তিত গোটা বিশ্ব। প্রাকৃতিক সম্পদকে টিকিয়ে রেখে বাস্তুতন্ত্রকে বজায় রাখা আমাদের এক অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। অন্যথায়, এমন সময় আসবে যখন এই শূন্যস্থান কিছুতেই পূরণ করা সম্ভব হবে না। তার ফলস্বরূপ আমাদের সর্বস্ব খোয়াতে হবে, বিশেষ করে জঙ্গল সংলগ্ন জনজাতিকে বাঁচিয়ে রাখতে ও তাদের স্বভাব, বাসস্থান ও কর্মসংস্থান সহ বিচরণ ক্ষেত্রকে আদর্শ করে তুলতে হবে। বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবসে আমাদেরকে আরো বেশি বেশি করে এই সমস্ত জনজাতিদের দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। আর এই ব্যাঘ্র দিবসের অঙ্গীকার হোক প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে বজায় রাখা যদিও সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ থেকে শুরু করে ম্যানগ্রোভ বাঁচানোর লক্ষ্যে এবং নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের আত্মসামাজিক স্বনির্ভর করতে সর্বদা সচেষ্ট। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ব্যাপারে বেশ কিছু সংগঠনের ভূমিকা অগ্রগণ্য। প্রতিটি মুহূর্তে কাজ করে চলা গাঙ্গেয় সুন্দরবন এলাকার সঙ্গে ও সুন্দরবন এলাকার জনজাতিদের আত্মসামাজিক অগ্রগতির দিকে ও তাদের সজাগদৃষ্টি। আগামী দিনগুলিতে ছাত্র-ছাত্রী, কিশোর, যুবক সকলকে এগিয়ে এসে সার্থক করতে হবে ব্যাঘ্র দিবসের এই কর্মসূচি।