সারা পৃথিবীর সাথে সাথে ভারতবর্ষ এবং কলকাতাতেও সাড়ম্বরে পালিত হল আন্তর্জাতিক ধরিত্রী মাতা দিবস ২০২৩

বাবলু হাসান লস্কর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা :আন্তর্জাতিক ধরিত্রী মাতা দিবস পালিত হল কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গে একাধিক এলাকায়।

    এই অনুষ্ঠান উদযাপন করল ৫০ বছর ধরে ভারতের সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকা সিনি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

    ইন্টারন্যাশনাল মাদার আর্থ ডে ২০২৩ এই বছরের থিম ছিল “আমাদের ধরিত্রী জন্য বিনিয়োগ করুন”, প্রতি ২২শে এপ্রিল, পৃথিবী দিবসে জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপকে এগিয়ে নিতে একত্রিত হয় সারা পৃথিবীর মানুষ।

    এই দিনটি পালন করার জন্য আজ কলকাতার টালিগঞ্জ অঞ্চলে একত্রিত হয়েছিল হাজার খানেক মানুষ। আর চোখে পড়ার মতন উল্লেখযোগ্য ছিল পবিত্র ঈদের দিনে ইসলাম ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের মানুষরা ঈদ পালনের সাথে সাথে এই দিনটি পালন করার উৎসাহ।

    অঞ্চলের ইমাম বলেন সারা পৃথিবীর যেভাবে ক্রমশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার জন্য এখনই আমাদের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। তিনি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া শিশু, কিশোর,কিশোরী আর অন্যান্য দের বুঝালেন কী ভাবে এই পৃথিবীর পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। শিশুদের কুইজের উত্তর থেকেই উঠে এলো পৃথিবী রক্ষার সুন্দর ভাবনা। ছোটদের র‍্যালি কুইজ বসে আঁকো এবং গাছ বিতরনের মধ্যে দিয়ে শিশুরা দিনটিকে খুব ভালো করে উপভোগ করে। শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যত। শুধু জ্ঞান নয়, ওদের সুন্দর পরিবেশ দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। গাছ লাগানো খুব ভালো, কিন্তু তার পাশাপাশি গাছ কাটা বন্ধ করা দরকার, প্লাস্টিকের ব্যবহার, জলের অপচয় – আমাদেরই বন্ধ করতে হবে। সিনির ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার শ্রী সুজয় রায় জানালেনগত এক বছর ধরে CINI হোয়াট চিলড্রেন ওয়ান্ট নামে একটি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শিশুদের কাছ থেকে জলবায়ু সংক্রান্ত সংকটের মোকাবিলায় শিশুরা কি ভাবছে সে মতামত জানতে চাইছেন। এ পর্যন্ত প্রায় দশ হাজার শিশু এই ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেছে। উদ্দেশ্য একটাই পাড়া থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক স্তর পর্যন্ত সমস্ত ব্যক্তি মানুষ, সরকার বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়কে আগামী দিনে জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে অংশগ্রহণ করিয়ে উদ্ভাবনী এমন কিছু পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে আমরা ফিরিয়ে দিতে পারি সেই সবুজ পৃথিবীকে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য।

    পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন পরিবেশ সচেতনতা মূলক কর্মসূচির পাশাপাশি সিনির মতন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এই ধরনের সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেন পরিবেশ সংক্রান্ত আন্দোলনকে আরো জোরদার করবে বলে মনে করা হচ্ছে।