|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- পড়াশোনা করতে মোটে ভাল লাগে না। তবু মা-বাবা সবসময় বলে বই নিয়ে বসতে। সোমবার ছেলেকে পড়াশোনা নিয়ে একটু বকাবকিও করেন বাবা। অভিযোগ, এরপরই নিখোঁজ হয়ে যায় গাইঘাটার ১১ বছরের রাজ বিশ্বাস। দিনভর বাবা হন্যে হয়ে ছেলেকে খুঁজে চলেন। কিন্তু কোনও খোঁজ মেলেনি। সন্ধ্যা নাগাদ একটি অচেনা নম্বর থেকে তাঁদের কাছে ফোন যায়। বলা হয়, ‘গাইঘাটা থানা থেকে ফোন করছি।’ শুনেই হতচকিয়ে যায় পরিবার। মনে ভয় ছিল, পুলিশ না জানি কী খবর দেয়। যদিও সেই ফোনই স্বস্তি দিয়েছে বিশ্বাস পরিবারকে। তারা জানায়, রাজকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছে। বাড়ির লোকজন এসে যেন ছেলেকে বাড়ি নিয়ে যায়।রাজের বাড়ির লোকজন জানান, ছেলে পড়াশোনায় অমনোযোগী। সূত্রের খবর, সোমবার সকালে কিছুতেই পড়তে বসছিল না সে। তাতেই বাড়ির লোকজন একটু বকাবকি করে। এরপরই দেখা যায় চৌকির উপর বই পড়ে রয়েছে। অথচ ব্যাগটা নেই। বাবা গোপাল বিশ্বাস কাজ থেকে ফিরে সে দৃশ্য দেখে অবাকই হন কিছুটা। এরপরই ছেলের খোঁজ শুরু হয়। দিনভর ছেলেকে খুঁজলেও পাওয়া যায়নি। সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খুঁজে পুলিশের কাছে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল পরিবার।বিকেলের পর গাইঘাটা থানা থেকে ফোন করে বলা হয়, তাদের ছেলেকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। খবর পেয়েই থানায় ছুটে যান গোপাল বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী। তাঁদের হাতে ওই নাবালককে তুলে দেয় গাইঘাটা থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার গাইঘাটা থানার কুলপুকুর এলাকায় ওই নাবালককে একা একা ঘুরে বেড়াতে দেখে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা জানতে পারে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে সে। হাবরা থানার কাশীপুরে তার বাড়ি।রাজের বাবা গোপাল বিশ্বাস বলেন, “আমি ছেলেকে স্কুলে যেতে বলেছিলাম। এরপরই আমি মাঠে কাজে চলে যাই। এসে দেখি চৌকিতে বই রাখা। কিন্তু ব্যাগ নেই। তাতেই আমার সন্দেহ হয়। এদিক ওদিক খুঁজে দেখছিলাম কোথায় গেল। ততক্ষণে একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। বলে গাইঘাটা থানা থেকে বলছে। ওনারাই বলেন, থানাতে ছেলে রয়েছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে থানায় যাই। সকালে সেই স্কুলের সময় বেরিয়েছিল। ফেরত পাই রাতে। ভাগ্যিস পুলিশ ছিল। তাই সুস্থভাবে আমার ছেলেটাকে ফেরত পেলাম।”