|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: একমাত্র ছেলের খোঁজে এখনও পথে দাঁড়িয়ে থাকেন মা। একদিন ফিরবে, স্বপ্ন দেখেন রোজ। একদিন দু’দিন করতে করতে আজ চার বছর হল, ছেলে ফেরেনি! মা তবুও ভাবেন, একদিন ঠিক ফিরবে। চার বছর আগে, ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর জেএনইউএর ছাত্রাবাস থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন এমএসসি বায়োটেকনোলজি প্রথম বর্ষের ছাত্র নাজিব আহমেদ।
তারপর থেকে লাগাতার দিল্লি পুলিশ, দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং সিবিআইয়ের চিরুনি তল্লাশির পরেও খুঁজে পাওয়া যায়নি নাজিব আহমেদকে। নিখোঁজ হওয়ার আগে আরএসএস এবং বিজেপি সমর্থিত সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের তিন ছাত্র বিক্রান্ত কুমার, অঙ্কিত কুমার ও সুনীল প্রতাপের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। অভিযোগ, তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান নাজিব। শেষবার সেই রাতেই ফোনে কথা বলেছিলেন তাঁর মায়ের সঙ্গে।
সেদিন রাতে নাজিবের আকস্মিক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় বিপুল ছাত্র আন্দোলন শুরু হয় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ছাত্রদের এই বিপুল রোষের মুখে পড়ে দিল্লি পুলিশের তিনটি দল পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে ১১টি জোনে ভাগ করে চিরুনি তল্লাশি চালায়। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অভিযান চালান ৫৬০ জন পুলিশ কর্মী। এরপর গোটা দেশজুড়ে লাগাতার নাজিবের খোঁজে একের পর এক অভিযান চালান দিল্লি পুলিশ, দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।
এমনকী সিবিআই-এর তরফ থেকে নাজিমের খোঁজে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি নাজিবের। কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো প্রকাশিত হয় নাজিব আহমেদের মা ফাতিমা নাফিসের। ওই ভিডিয়ো-বার্তার মাধ্যমে অনলাইনে নাজিবের খোঁজে ১৫ এবং ১৬ অক্টোবর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন নিখোঁজ জেএনইউ ছাত্রের মা ফাতিমা নাফিস।
শুধু তাই নয়, ওই ভিডিয়ো-বার্তায় তিনি আবারও দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পুরো দুনিয়া জানে দিল্লি পুলিশ কীভাবে নাজিবের মামলায় ভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। যারা অভিযুক্ত তারা এখনও মুক্ত আর যারা নাজিবের সমর্থনে সরব হয়েছিলেন তাদের ধরে ধরে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দিল্লি পুলিশ এইরকমই কাজ করেছে। দিল্লি পুলিশের লজ্জা হওয়া উচিত যে যেখানে তাদের কাজ করার কথা ছিল সেখানে তারা কাজ করেননি।