এটি এম লুটের ঘটনায় ধৃত পাঁচ ব্যক্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা: পুজোর আগেই ভিন্‌ রাজ্য থেকে হাওড়ায় হাজির হয়েছিল এটিএম লুটেরাদের ‘গ্যাং’। কিন্তু লুট করতে গিয়ে দলের পাঁচ দুষ্কৃতী ধরা পড়ে যাওয়ায় বানচাল হয়ে গিয়েছে লুটের পরিকল্পনা। তবে একটি ছোট মালবাহী গাড়িতে করে আসা ওই দলটির আরও পাঁচ-ছ’জন সদস্য পালিয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে ব্যাঁটরার বেলগাছিয়া মোড়ে ।পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মহম্মদ মইনুদ্দিন আনসারি, সিরাজ আনসারি, জাকির হোসেন, মহম্মদ আবসার আলম ও মহম্মদশামিম। তারা সকলেই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। সেই সঙ্গে এটিএমভাঙার বিভিন্ন যন্ত্রপাতিও মিলেছে। বুধবার ধৃতদের হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের জেরা করে দলের বাকি সদস্যদের হদিস পাওয়ার চেষ্টা করা হবে।

    পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর আসে যে, বেলগাছিয়া মোড়ে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অরক্ষিত এটিএম ভেঙে লুট করতে কয়েক জন দুষ্কৃতী সেখানে জড়ো হচ্ছে। খবর পেয়েই ব্যাঁটরা থানার পুলিশের মোবাইল ভ্যান দুষ্কৃতীদের ঘিরে ফেলে। হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় পাঁচ জন। কিন্তু ওই সময়ে দূরে একটি মালবাহী গাড়িতে অপেক্ষারত আরও ছ’-সাত জন দুষ্কৃতী পুলিশকে দেখে সেখান থেকে চম্পট দেয়। পুলিশের ধারণা, ওই গাড়িতে এটিএম ভাঙার গ্যাসকাটার ছিল। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই দলটি বিভিন্ন জায়গায় এটিএম লুট করে।

    প্রসঙ্গত, গত বছর হাওড়ায় বেশ কয়েকটি এটিএম ভেঙে লুটের ঘটনা ঘটেছিল। তখন তদন্তে পুলিশ জানতে পারে যে, ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীরাই এই কাজ করেছে। কয়েক জনকে সে সময়ে গ্রেফতারও করেছিল হাওড়া সিটি পুলিশ। এ বার পুজোর আগে ফের ঝাড়খণ্ডেরই দুষ্কৃতী দল শহরে লুটের চেষ্টা করায় চিন্তিত পুলিশ।